ঢাকা, বুধবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও দুর্নীতি রয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭
শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও দুর্নীতি রয়েছে সিরডাপ মিলনায়তনে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর আলোচনা সভায় বক্তারা;ছবি-রানা

ঢাকা: শুধু সরকারি নয়, সকল বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেই দুর্নীতি রয়েছে বলে দাবি করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

মঙ্গলবার ( ফেব্রুয়ারি ৭) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর আয়োজনে জাতীয় শুদ্ধাচারকৌশল বাস্তবায়ন এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে এনজিওদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, সরকারি-বেসরকারি সব সেক্টরেই দুর্নীতির কম-বেশি প্রকোপ রয়েছে।

আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। আমাদের উচিৎ আমরা যেটা বিশ্বাস করি সেটা বলা। আমাদের দেশে অনেকে আছেন তিনি যেটা বিশ্বাস করেন সেটা বলেন না বরং যেটা বলেন সেটা বিশ্বাস করেন না। এ জাতীয় মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন করাও কঠিন কাজ। এজন্য কমিশন ক্ষুদ্র সামর্থ্য নিয়ে আগামী প্রজন্মের মধ্যে সততা ও নিষ্ঠাবোধ সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন প্রেরণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

তিনি আরো বলেন, বিগত বছরে প্রায় ৪ শতাধিক ব্যক্তিকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেকে বলেন, কমিশনের এই দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের প্রেক্ষিতে ঘুষ চাওয়ার প্রবণতা কমলেও ঘুষের পরিমাণ বেড়ে গেছে। সত্যিই দুর্নীতি দমন অসম্ভব নয় কিন্তু কঠিন। এছাড়া ঘুষের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ঘুষ প্রদানের আগেই কমিশনকে জানানো হলে ঘুষ গ্রহণকারীকে ফাঁদ পেতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধির পরও যারা ঘুষ নেন তাদের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সাথে কমিশনে অভিযোগ দিতে হবে।

ঘুষের অভিযোগ পেলে রুই-কাতলা কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন,কমিশনে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে আসুন। সে যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ঘুষের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে কমিশন তাকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিবে না। সে যদি ক্ষমতাশীল ব্যক্তিও হোন।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে হলে চারটি সদিচ্ছা প্রয়োজন। যেমন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা,দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা তৈরি করা ও তরুণদের দুর্নীতি প্রতিরোধে সম্পৃক্ত করা। আর এই চারটি কাজ করতে হবে সরকারকে। এছাড়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের একার পক্ষে কাজ করাও সম্ভব নয়। এজন্য সরকারকে তার নির্দিষ্ট জায়গা তৈরি করতে হবে। এছাড়া প্রত্যেকটি এনজিও অফিসে একটি করে দুর্নীতি জমা দেওয়ার বাক্স থাকতে হবে।

নিজেরা করির সমন্বয়ক খুশি কবীর বলেন, আমাদের দুর্নীতির চিত্র আগের চেয়ে কমে গেছে। এজন্য আমাদের হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। কারণ প্রকাশ্যে দুর্নীতি না হলেও ভেতরে ঠিকই দুর্নীতি হচ্ছে। তাই দুর্নীতির যেকোনো তথ্য থাকলে সেটা অবশ্যই দুদককে দ্রুততার সঙ্গে জানাতে হবে। কেননা দুর্নীতি প্রতিরোধ না করলে কখনো দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।

এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, এনজিও ব্যক্তিত্ব ফারাহ্ কবীর, অ্যারোমা দত্ত, রহিমা সুলতানা কাজল, ফিলিপ বিশ্বাস, সিরাজুল ইসলাম, সজীব বিশ্বাসসহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭
এসজেএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।