মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে হত্যা করে বেলা ১১টার দিকে থানায় আত্মসমর্পণ করেন মাজেদা বেগম। খবর পেয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
আত্মসমর্পণের পর মাজেদা বেগম পুলিশকে জানান, সোমবার রাতে তিনি অলিউল্লাহর খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। এরপর ভোরে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
অলিউল্লাহর সেজো ভাই দীন ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, অলিউল্লাহ আঠার বছর ধরে সৌদিআরব প্রবাসী। চৌদ্দ বছর আগে হাসাড়া গ্রামের নুরু খলিফার মেয়ে মাজেদা বেগমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। অলিউল্লাহ দেশে ব্যবসা করতে চাইলে মাজেদা তাতে বাধা দেন। সে কারণে আবার সৌদিআরব যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেন অলিউল্লাহ। তাতেও বাধা দিয়ে ভিসাসহ অলিউল্লাহর পাসপোর্ট ছিড়ে ফেলেন মাজেদা। এ নিয়ে হাসাড়া ইউনিয়ন পরিষদে সালিশও হয়। নতুন করে পাসপোর্ট তৈরি করেন অলিউল্লাহ। সব ঝামেলা মিটিয়ে মঙ্গলবার রাতে বিদেশ যাওয়ার কথা ছিল অলিউল্লাহর। এরই মধ্যে ভোরেই তাকে খুন করা হয়।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে দাম্পত্য কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। থানায় আত্মসমর্পণ করে মাজেদা এ কথা স্বীকার করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭
আরএ