আসামির উপস্থিতিতে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. সালেহ উদ্দিন আহমদ এ রায় দেন।
নাজমুল হাসান জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার আশ্বিনপুর গ্রামের বড় বৈদ্য বাড়ির নুরুল আমিনের ছেলে।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, নাজমুলের স্ত্রী হোসনে আরা পাশের এলাকার আবুল কাশেমের মেয়ে। পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১০ সালের ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে নাজমুল নিজ ঘরে শ্বাসরোধ করে প্রথমে স্ত্রীকে হত্যা করেন। এসময় তাদের শিশু কন্যা কান্নাকাটি করলে তাকেও একই কায়দায় হত্যা করেন তিনি। পরে তিনি মরদেহ দু’টি বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত একটি ঘরে মাটির মেঝের নিচে পুঁতে রাখেন এবং তারা নিখোঁজ হয়েছেন বলে প্রচার করেন। কিন্তু এতে সন্দেহ হওয়ায় ২৪ জুলাই নাজমুলের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন হোসনে আরার বাবা। সেই আলোকে পুলিশ ওইদিনই নাজমুলকে আটক করলে তিনি স্ত্রী-সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরে সাধারণ ডায়েরিটি হত্যা মামলায় পরিবর্তন করা হয়।
সরকার পক্ষের আইনজীবী আমান উল্যাহ বাংলানিউজকে জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতলব দক্ষিণ থানার সেই সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান একই সালের ৩১ জুলাই নাজমুলের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ১৬ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার এ রায় দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭
এসআই