তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, প্রশাসনের ছত্রছায়ায় নিজ নির্বাচনী এলাকা শেরপুরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে হুইপ আতিউর রহমান আতিক এ দাবি জানান।
আতিউর রহমান আতিক বলেন, কিছুদিন আগে সারাদেশে জেলাপরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সূত্রে আমার জেলা শেরপুরেও নির্বাচন হয়েছে। সেখানে আমাদের দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হুমায়ন কবির রোমান পাস করেছেন। পাস করার পর শেরপুরে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, অদৃশ্য শক্তির ইশারায় সেখানে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। আর প্রশাসনের ছত্রছায়ায় শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনকি সিভিল সার্জনের টেবিলে অস্ত্র রেখে অবৈধ কাজের জন্য কাগজে সই করানো হয়েছে।
সরকার দলীয় এ এমপি বলেন, জেলা প্রশাসনের ছত্রছাত্রায় অদৃশ্য শক্তির ইশারায় শেরপুরকে অশান্ত করে তুলছে। তাই আমার শেরপুরের মানুষের দাবি সন্ত্রাসী যেই হোক অবিলম্বে তার বিচার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন সন্ত্রাসীর কোনো দল নেই। তাই সন্ত্রাসী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
তার বক্তব্যের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, আমরা একদমই এটা এড়াতে পারি না। যারা সন্ত্রাস চালিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
জাতীয় পাটির আরেক সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, সংসদের হুইপ যদি এ কথা বলেন, তাহলে আমাদের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। ওনার এলাকায় ডিজঅর্ডার হয়েছে, উনি সংসদে এনেছেন। এটা যদি হয়, তাহলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ৩শ’ বিধিতে বিবৃতি দিতে হবে। যদি না দেন তাহলে ধরে নেবো সরকার ব্যর্থ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭
এসএম/ওএইচ/এএ
** দারিদ্র্য বিমোচনে প্রতিষ্ঠা হবে ‘পল্লি উন্নয়ন একাডেমি’
** ২০১৯ সালের মধ্যে ৩ লাখ গৃহহীন মানুষ পুনর্বাসন হবে
** শপথ নিয়েই অধিবেশনে যোগ দিলেন হাছান ইমাম খাঁন