এসময় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আসা তিতাস গ্যাস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ধাওয়া করেন।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার বরপা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে জোবিঅ সোনারগাঁও জোন যাত্রামুড়া শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক ফয়জার রহমান, ব্যবস্থাপক মোমেন তালুকদার, সহ-প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান আজাদের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় বরপা এলাকার অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আসেন। এসময় বিতরণ লাইনের বাল্প থেকে গ্যাস বন্ধ করে দেওয়া হলে পুরো এলাকাজুড়ে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের খবর ছড়িয়ে পড়ে।
পরে পাড়া-মহল্লায় মাইকিং করে এলাকাবাসীকে জড়ো হতে বলা হয়। একপর্যায়ে শত শত নারী-পুরুষ লাঠিসোটা নিয়ে তিতাস গ্যাস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধাওয়া করেন। এসময় অভিযানে আসা তিতাস গ্যাস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হামলার আশঙ্কায় চলে যান। পরে এলাকাবাসী অবৈধ গ্যাস লাইন বৈধ করার দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এসময় সড়কের উভয় দিকের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিক্ষুব্ধরা সড়কে টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম, রাসেল শিকদার ও রফিকুল ইসলাম মনিরসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীকে শান্তনা দেন। গ্যাস লাইন বৈধ করার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আবেদন করবেন বলে আশ্বাস দিলে তারা মহাসড়ক থেকে সরে যান।
এদিকে, ঘণ্টাব্যাপী অবরোধের ফলে মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তির শিকার হন যাত্রী সাধারণ।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের প্রতিবাদে এলাকাবাসী ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭
আরএ