‘ফেনীর সাবিনা এখন হৃদয়’ খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর টনক নড়ে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের।
শনিবারের (৪ ফেব্রুয়ারি) ঘটনার পর মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কিসিঞ্জার চাকমার নেতৃত্বে ও ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মোর্শেদের সহযোগিতায় জিএমহাট ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক, স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল খায়ের মেম্বারসহ একটি টিম গঠন করে ওই বাড়িতে তদন্তে যান।
ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সামছুদ্দিন ইলিয়াছের মাধ্যমে পরীক্ষা করে বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুয়া বলে জানা যায়। মেয়ে থেকে ছেলে রূপান্তরের মতো কোনো ঘটনাই সাবিনার শরীরে ঘটেনি বলে জানান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে নকল লিঙ্গ বানিয়ে তারা মেয়েটিকে ছেলে সাজিয়েছিল। সম্পূর্ণ মিথ্যা এ নাটকটি তার পরিবার অর্থ আদায়ের উদ্দেশে সাজিয়েছিল বলে জানা যায়।
বিবি জোলেখা খাতুন সাবিহা জানায়, রাতারাতি বড়লোক হওয়ার আশায় তার চাচী বিউটি, চাচা মোরশেদ আলম, মা শামছুন্নাহার ও বাবা শফিকুর রহমানের প্ররোচণায় সে মেয়ে থেকে ছেলে সেজেছিল। এ ব্যাপারে ফুলগাজী ইউএনও কিসিঞ্জার চাকমা ও ফুলগাজী ওসি এম এম মোর্শেদ বলেন, প্রতারক চক্রকে আমরা খুব তাড়াতাড়ি আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
এ ঘটনায় সাবিনার মা শামছুন্নাহার, বাবা শফিকুর রহমান ও সাবিনাকে আটক করেছে পুলিশ। এ ব্যাপরে প্রতারণার দায়ে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জড়িত অন্যদেরও শিগগিরই আটক করা হবে বলে জানান তিনি।
শফিকুর রহমানের ভাষ্যমতে, জ্বীনদের ইচ্ছায় তার মেয়ে ছেলেতে পরিণত হয়েছে। ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে মেয়ের আচরণে পরিবর্তন ঘটে। তার লিঙ্গও পরিবর্তন হয়েছে বলে তার বাবার দাবি ছিল। আর সে কারণেই বাজারে নিয়ে নাপিতের সাহায্যে তার মাথার চুল ছেটে ফেলা হয় এবং নাম রাখা হয় হৃদয় চৌধুরী শুভ।
ফুলগাজী উপজেলার জিএমহাট ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের শফিকুর রহমান পাটোয়ারির মেয়ে বিবি জোলেখা খাতুন সাবিহা (১৫)। সে রাহাতেরনেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।
** ফেনীর সাবিহা এখন হৃদয়!
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭
আরএ