ঢাকা, বুধবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

জালিয়াতি মামলায় পলাতক সিলেট বিআরটিএ’র তিন কর্মকর্তা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭
 জালিয়াতি মামলায় পলাতক সিলেট বিআরটিএ’র তিন কর্মকর্তা

সিলেট: জালিয়াতির অভিযোগে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সিলেট অফিসের তিন কর্মকর্তা ও প্রবাসীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। এ ঘটনায় সিলেট কালেক্টরেট পাড়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

মামলা দায়েরের পর থেকে পলাতক রয়েছেন বিআরটিএ কর্মকর্তারা। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

গ্রেফতার এড়াতে মঙ্গলবার তারা অফিসেও হাজির হননি।

দুদক ঢাকা অঞ্চলের উপপরিচালক ফরিদুর রহমান বাদী হয়ে সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলাটি (নং-৭(২)’১৭) দায়ের করেন।

মামলার অন্যতম আসামিরা হলেন, বিআরটিএ সিলেটের সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন মন্টু, মোটর যান পরিদর্শক কেশব কুমার দাস ও উচ্চমান সহকারী আব্দুর রব, বিশ্বনাথের বাসিন্দা এবং কার্নেট সুবিধায় গাড়ি আমদানিকারক ও বিক্রেতা প্রবাসী রুপা মিয়া, বিশ্বনাথ আওয়ামী লীগ নেতা পঙ্কী খান ও গাড়ি ক্রয়কারী সিলেটের বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মুর্শেদ আলম বেলাল।

মামলা দায়েরের পর জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত মুর্শেদ আলম বেলালকে বাগবাড়ির নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে দুদক।

মামলার বরাত দিয়ে দুদক সূত্র জানায়, ২০১০ সালে চট্রগ্রাম বন্দর দিয়ে কার্নেট সুবিধায় দেশে গাড়ি নিয়ে আসেন বিশ্বনাথের প্রবাসী রুপা মিয়া। তিনি এই গাড়িটি মুর্শেদ আলম বেলালের কাছে ২৯ লাখ টাকায় বিক্রি করেন।

গাড়িটির ইঞ্জিন-চেসিস নাম্বার ঘষামাজা করে রেজিস্ট্রেশন করে দেয় সিলেট বিআরটিএ কর্মকর্তারা। এ জন্য ১৭ লাখ টাকা ঘুষ নেন সিলেট বিআরটিএ কর্মকর্তারা। আর গাড়ি বিক্রি থেকে শুরু করে রেজিস্ট্রেশন করানোর মধ্যস্থতা করে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পঙ্কী খান। যে কারণে মামলায় তাকেও আসামি করা হয়।

দুদকের উপপরিচালক দেবব্রত মন্ডল বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বিআরটিএ’র তিন কর্মকর্তাসহ অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

এ ব্যাপারে মামলার বাদি ও তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের ঢাকা অঞ্চলের উপপরিচালক ফরিদুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এছাড়া বিআরটিএ সিলেটের উপপরিচালক আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭
এনইউ/অারআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।