মঙ্গলবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়া থেকে ত্রিমোহনী গুদারাঘাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর তিনজন মাঝি এভাবেই তাদের অভিমত ব্যক্ত করে ধন্যবাদ জানান মেয়রকে।
নন্দীপাড়া থেকে আসা জিরানী খাল, রামপুরা থেকে একটি এবং পূর্বদিক থেকে আসা মান্ডা খালের একটি অংশ এসে মিশেছে গুদারাঘাট-ত্রিমোহনীতে।
অপদখলের হাত থেকে খাল বাঁচানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র। সেই ঘোষণা অনুযায়ী চলে উচ্ছেদ অভিযান। এলাকার মানুষ এ বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
উচ্ছেদ অভিযানের সময় বাংলানিউজকে আমজাদ মাঝি জানান, খিলগাঁওয়ের ত্রিমোহনীতেই তার জন্ম। বাপ-দাদার ভিটা এখানেই। গুদারাঘাটে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে নৌকা চালান।
তিনি আরও বলেন, ২৫ বছর আগের কথা। যখন এ খালের যৌবন ছিলো। খালে প্রচুর স্রোতও ছিলো। খাল দখলমুক্ত হওয়ায় আমরা খুশি। এখন সংস্কার করে দিলে আবারও নৌকা চালাতে পারবো।
আমজাদের মতো মোহাম্মদ ও খায়ের মাঝি বলেন, মেয়রের এ উদ্যোগে আমরা অনেক খুশি হয়েছি। খাল দখল মুক্ত হওয়ায় এলাকাবাসীও খুশি।
মাঝিরা জানান, এ খালের বয়স প্রায় ২শ বছর। এটি একটি ঐতিহ্যও হতে পারে। আমরা চাই, হাতির ঝিলের মতো এ খালটিও সুন্দর হোক। তাহলে এলাকার পরিবেশ সুন্দর হবে।
খাল উচ্ছেদের সময় খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়া থেকে ত্রিমোহনী গুদারাঘাট ঘুরে দেখা যায়, খালপাড়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ভেঙে ফেলা দোকানের কাঠ, বাঁশ সরিয়ে নিচ্ছেন দখলবাজরা।
ভেঙে ফেলা দোকানের মালিক শওকত আলী বাংলানিউজকে জানান, দোকান ভেঙে দিয়েছে। এখন কাঠ, বাঁশ সরিয়ে নিচ্ছি।
গত ২২ জানুয়ারি (রোববার) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাইদ খোকন রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল, বক্স কালভার্ট ও রাস্তা যেকোনো মূল্যে অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে বলে ঘোষণা দেন। মেয়রের ঘোষণা অনুযায়ী ০৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার থেকে নন্দীপাড়া ত্রিমোহিনী খালটি দখলমুক্ত করার কাজ চলছে।
এছাড়া আগামী ০৯ ফেব্রুয়ারি হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযান চালানোর কথা রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭
আরএটি/ওএইচ/এসএনএস