ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে না আনায় বিস্মিত মৃণাল কান্তি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭
তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে না আনায় বিস্মিত মৃণাল কান্তি

ঢাকা: বিএনপিকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিনির্ভর সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয় সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের সদস্য মৃণাল কান্তি দাস। 

এদিকে, সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে কেন শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি।  
 
মঙ্গলবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।


 
মৃণাল কান্তি দাস বলেন, গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি অঙ্গন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল রয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে- জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাস্টারমাইন্ড খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন অশুভ জোটকে কঠোর নজরদারিতে রাখার কারণে।  

তিনি বলেন, এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী খালোদা জিয়া ও তার পারিষদবর্গকে হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অগ্নিসংযোগ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, অনিয়ম, বিদেশে অর্থ পাচার, জঙ্গিবাদের সঙ্গে পৃষ্ঠপোষকতা ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি কাঠামোতে না এনে মুক্ত দুনিয়ায় অব্যাহতভাবে বিচরণ করতে দিলে সভ্যতা লজ্জা পাবে।
 
তিনি আরও বলেন, আমি বিস্মিত হই, সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানকে দেশে ফিরে আনার কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। আদালত অবমাননাকারী ও এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী খালেদা জিয়ার বিচারকার্য ধীর লয়ে চলে! মামলা কেন নিষ্পত্তি হয় না! এই অশুভ শক্তির স্থায়ী বিনাশ হওয়া উচিত।  

মৃণাল বলেন, গণতন্ত্রের নামে যারা এদের পৃষ্ঠপোষকতা ও সমর্থণ দান করে, তারাও প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবতা ও জাতীয় অগ্রগতি এবং উন্নয়নে বিশ্বাস করে না।  
 
অনতিবিলম্বে লন্ডনে বসে আইএসআইয়ের ক্রীড়ানক ও মুম্বাইয়ের মাফিয়া ডন পাকিস্তানে পলাতক দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ দোসর তারেক রহমানকে দেশে ফিরে এনে শাস্তি ভোগ নিশ্চিত করা হোক। পাশাপাশি খালেদা জিয়াসহ তার পারিষদবর্গেরও বিচার কার্য দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি করেন তিনি।
 
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আরও বক্তব্য রাখেন- বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, মো. রুহুল আমিন, তানভীর ইমাম, বেগম নিলুফার জাফর উল্লাহ, বেগম পিনু খান, মো. আব্দুল মালেক, বেগম হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, ইউনুস আলী সরকার, বেগম খোরশেদ আরা হক।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭
এসএম/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।