এসময় অপহৃত শিশুটি উদ্ধার ও তাদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
আটক আরআরএফ পুলিশ সদস্য কবিরুল ইসলাম মেহেরপুর সদর উপজেলার বামনপাড়া গ্রামের মিয়ারুল ইসলামের ছেলে এবং অন্যজন ওই উপজেলার দীঘিরপাড়া গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে আল মামুন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ১১টা) আটকদের গাংনী থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছিল।
উদ্ধার শিশু সজিব হোসেন (১২) গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের সেন্টারপাড়া এলাকার আজিজুল হকের ছেলে।
মঙ্গলবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয়দের দেওয়া সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম বামুন্দী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
বামুন্দী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হান্নান বাংলানিউজকে জানান, বিকালের দিকে হাড়াভাঙ্গা এলাকা থেকে শিশু সজীব হোসেনকে দুইজন মোটরসাইকেল আরোহী অপহরণ করে পালিয়ে যাচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বামন্দী-কাজীপুর রাস্তার বামন্দী এলাকায় বেরিকেড দেওয়া হয়। এসময় তাদের হাতে নাতে আটক করা হয়।
এসআই আব্দুল হান্নান আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, আটক পুলিশ সদস্য ও অন্য সহযোগী আব্দুল মান্নান উদ্ধার হওয়া শিশুটির হাত দিয়ে এক বোতল ফেনসিডিল নেওয়ার পর টাকা দাবি করলে, তারা শিশুটিকে উঠিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তবে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ সুপার সাহেব খুলনা ডিআইজি স্যারকে জানিয়েছি। এখন বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রতিবেদনসহ বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে পুলিশ সদস্য রফিকুল ইসলামকে খুলনা ডিআইজি অফিসে পাঠানো হবে। এছাড়া অন্য সহযোগী আব্দুল মান্নানকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে তোলা হবে।
মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যেহেতু বিষয়টি ডিআইজি সাহেবের নলেজে রয়েছে, এখন তার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেটা সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত আসবে।
এদিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, কবিরুল ইসলাম পুলিশে চাকরি পাওয়ার আগে মাদক সেবনের অভিযোগে বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেল খেটেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৭
এসএনএস