ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

টাঙ্গাইলের ৫ উপজেলার ১৫ ইউপিতে নির্বাচন হচ্ছে না

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৭
টাঙ্গাইলের ৫ উপজেলার ১৫ ইউপিতে নির্বাচন হচ্ছে না

টাঙ্গাইল: আদালতের নিষেধাজ্ঞা এবং সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতার কারণে টাঙ্গাইলের পাঁচটি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে না। ফলে ওই সব ইউনিয়নে দায়িত্ব পালন করছেন আগের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। সংশ্লিষ্টরা এসব জটিলতা দ্রুত নিরসন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলি ও কাকুয়া ইউনিয়নে যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনের কারণে সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা শেষ না হওয়ায় নির্বাচন করা যাচ্ছে না। এ উপজেলার মাহমুদ নগর ও সিলিমপুর ইউনিয়নেও সীমানা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা রয়েছে।

কালিহাতী উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের রাজাবাড়ী গ্রামে এলেঙ্গা পৌরসভার সঙ্গে সীমানা বিভক্তি নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি মামলা রয়েছে। অপর একটি মামলা রয়েছে বাংড়া ইউনিয়নের খিলদা বাজার বিভক্তিকরণ নিয়ে। মামলা দু’টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় এ ইউনিয়নে নির্বাচন করা যাচ্ছে না।

অপরদিকে, বীরবাসিন্দা ইউনিয়ন ভেঙে পারখী ইউনিয়ন গঠিত হয়েছে। এ দু’টি ইউনিয়নের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে মামলা থাকায় নির্বাচন হচ্ছে না।
ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নকে দু’ভাগ করে সাগরদিঘী ইউনিয়ন, রসুলপুর ইউনিয়নকে দু’ভাগ করে লক্ষ্মীন্দর ইউনিয়ন এবং সন্ধানপুর ইউনিয়ন দু’ভাগে ভেঙে সংগ্রামপুর নতুন ইউনিয়ন করা হয়েছে। তিনটি ইউনিয়ন ভেঙে ছয়টি ইউনিয়ন করার গেজেট প্রকাশ হওয়ার পরেই উচ্চ আদালতে এই গেজেটের বিরুদ্ধে একটি রিট মামলা হয়েছে। ফলে এই ছয় ইউনিয়নে নির্বাচন হচ্ছে না।

বাসাইল উপজেলার বাসাইল সদর ইউনিয়নের এক থেকে ছয় নং ওয়ার্ড নিয়ে বাসাইল পৌরসভা গঠিত হয়েছে। বাকী তিনটি (সাত থেকে নয় নং) ওয়ার্ড নিয়ে বাসাইল ইউনিয়ন এখনও রয়েছে। কিন্তু ইউনিয়নের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় এ ইউনিয়নে নির্বাচন বন্ধ হয়ে আছে।

নাগরপুর উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নে সীমানা নির্ধারণ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু উচ্চ আদালতের রুলের কারণে সীমানা নির্ধারণের এই গেজেট প্রকাশিত না হওয়ায় এখানে নির্বাচন করা যাচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানায়, আগের ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা বিনা ভোটে দায়িত্বে থাকার জন্য মামলা করে নির্বাচন বিলম্বিত করার কৌশল নিয়েছেন। তারা সীমানা সংক্রান্ত জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে মামলা করে নির্বাচন বন্ধ রেখেছেন।

এদিকে এসব ইউনিয়নের নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থী ও সমর্থকরা দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে মানববন্ধন, মিছিল ও সমাবেশ করে আসছে। সেই সঙ্গে নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশন ও  জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সীমানা নির্ধারণসহ যেসব আইনি জটিলতা রয়েছে তা কাটিয়ে দ্রুত এসব ইউনিয়নে নির্বাচন করা যাবে বলে তিনি আশা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।