মেলা প্রাঙ্গণের পশ্চিমপ্রান্ত রাস্তা ঘেঁষে ১৫টির মতো বড় আড়ত বসেছে। ভোর ৪টা থেকে মেলায় আসা বিভিন্ন এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী এসব আড়ত থেকে মাছ কেনা শুরু করেন।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা পর্যন্ত এসব আড়তে পাইকারি দর হিসেবে বিভিন্ন প্রজাতির মাঝারি ও বড় আকারের প্রায় ১০ কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হয়েছে। এবারের মেলায় সর্বোচ্চ মাছ আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এরমধ্যে বাঘাইড়, গাঙচিল, চিতল, বোয়াল, রুই, কাতলা, মৃগেল, হাঙড়ি, গ্রাস কার্প, সিলভার কার্প, বিগহেড, কালিবাউশ, পাঙ্গাস মাছ অন্যতম।
শাহাদত হোসেন বাবু, বদিউজ্জামান, আকালু, দুলুসহ বেশ কয়েকজন আড়তদার বাংলানিউজকে বলেন, মেলা শুরুর প্রায় দুই সপ্তাহ আগ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা এ মেলা সামনে রেখে মাছ কেনা শুরু করেন। এসব মাছ তারা সংরক্ষণ করেন ছোট ছোট পুকুরে।
মেলা শুরুর একদিন আগে এসব পাইকারি ব্যবসায়ী ছোট-বড় ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মেলায় মাছ নিয়ে আসেন। স্থানীয় আড়তদারের মাধ্যমে তা মেলায় আসা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন।
ছয়তারা মাছ আড়তের মালিক শাহাদাত হোসেন বাবু বাংলানিউজকে জানান, তিনিসহ অন্য আড়তদাররা ভোর ৪টা থেকে পাইকারি মাছ বিক্রি শুরু করেন। সকাল ৯টার মধ্যে তিনি মাঝারি ও বড় আকারের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৭০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন।
এরমধ্যে ৫-১০ কেজি ওজনের মাছ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আড়তদার বদিউজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, তিনি প্রায় ৫০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। বিক্রি করা মাছের মধ্যে রুই, মৃগেল, সিলভার, বিগহেড, কাতলা অন্যতম।
এসব আড়তদাররা বলেন, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে ব্যবসায়ীরা এ মেলায় পাইকারি মাছ বিক্রি করতে আসেন।
এ মেলায় এক হাজারের মতো খুচরা মাছ ব্যবসায়ী দোকান বসিয়েছেন। তারা নিজেরাও বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছ নিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি প্রত্যেক খুচরা বিক্রেতা ক্রেতার চাহিদা মাথায় রেখে আড়ত থেকেও মাছ কিনেছেন।
তবে খুচরা ব্যবসায়ীদের মাছ বিক্রির হিসাব জানতে মেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানান এসব আড়তদার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, ফ্রেব্রুয়ারি ৮, ২০১৭
এমবিএইচ/জিপি/এএ