মঙ্গলবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) আসমাউল হোসেন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজউক সূত্র জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মোট ৩৫টি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনসহ আরও ১২০টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।
মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ৩৫টি ভবনের মধ্যে ২৭টি সূত্রাপুর ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত। এছাড়া বাকিগুলো গুলশান, মহাখালী, মিরপুর, সাভার ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত।
এদিকে, কয়েক বছর আগে রাজউকের তালিকায় অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন দেখানো হয় ৩২১টি। রাজউকের এ তালিকা থেকে ৯৩টি ভবনকে প্রাচীণ-ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ভাগ হয়ে যাওয়ার আগে ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) জিওডেসেক কনসালট্যান্টস অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তালিকা করে পুরান ঢাকার ৫৭৩টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিলো। এর মধ্যে ৩২১টি ভবন অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছিলো। বাকি ২৫২টি ঐতিহ্যবাহী ভবন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।
গত বছরের ২৭ এপ্রিল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ভূমিকম্প প্রস্তুতি ও সচেতনতা বৃদ্ধি কমিটি রাজউক ও সিটি করপোরেশনকে দেওয়া এক আদেশে এ ভবনগুলো অপসারণের জন্য এক মাস সময় বেঁধে দেয়। তবে এ সময়ের মধ্যে আদেশ কার্যকর না হওয়ায় আরও সাত মাস সময় বাড়িয়ে তা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয় কমিটি।
সরকারিভাবে তৈরি করা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলো বিশেষজ্ঞরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভবনগুলো পুনঃপরীক্ষার উদ্যোগে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রাজউকের সদস্য আসমাউল হোসেনকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
পুনঃপরীক্ষার পর ৩২১টি ভবনের মধ্যে ৩৫টি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এবং ১২০টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এছাড়া তালিকায় থাকা আরও ১০০টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ কিনা, তা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চেয়েছেন পুনঃপরীক্ষক কমিটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৭
এসটি/ওএইচ/পিসি