সেই মাছকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করা হয় বাহারি মিষ্টান্ন সামগ্রী। নাম দেওয়া হয় ‘মাছ মিষ্টি’।
মেলায় নিমন্ত্রণে আসা জামাই বাবুরা শ্বশুর-শাশুড়ির কাছ থেকে সাধ্যানুযায়ী পান মোটা অঙ্কের সেলামি। সঙ্গে যুক্ত হয় নিজের জমানো টাকা। এসব টাকায় চলে কেনাকাটার ধুম। তবে কেনাকাটার তালিকায় মাছের পর স্থান পায় রকমারি মিষ্টান্ন সামগ্রী। এর মধ্যে প্রাধান্য পায় মাছের আদলে তৈরি করা ‘মাছ’ মিষ্টি।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলায় আসা জামাই ও স্বজনদের সঙ্গে কথা হলে এমন তথ্য ওঠে আসে।
মেলায় আসা জামাই জান্নাতুল বাংলানিউজকে বলেন, ১০ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ সাড়ে ৮ হাজার টাকায় কিনেছেন। পাশাপাশি মাছের সঙ্গে মিল রেখে ৭ কেজি ওজনের একটি ‘মাছ’ মিষ্টি কিনেছেন এক হাজার ৪শ’ টাকায়। মাছ ও মিষ্টি নিয়ে শ্বশুরালয়ে যাবেন তিনি। শ্বশুরবাড়িতে সেই মাছ রান্না হবে। মাছ ও মিষ্টিতে চলবে আনন্দ আর উল্লাস। যোগ করেন এই জামাই বাবু।
একই কথা জানালেন মেলাতে আসা জামাই আইয়ুব আলী, খোকন, জাহাঙ্গীর আলম, মিজানুর রহমান সবুজসহ অনেকেই।
মিষ্টি দোকানি বগুড়া শহরের পীরগাছা হাট থেকে আসা ফেলু চন্দ্র মোহন্ত, সোনাতলার সৈয়দ আহম্মেদ কলেজ এলাকা থেকে আসা আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, এই ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার পর থেকেই তারা এ মেলায় আসেন। বাহারি ডিজাইনের মিষ্টান্ন সামগ্রীর আমদানি ঘটান। এবারও তার ব্যতিক্রম করেননি। বিপুল পরিমাণ মিষ্টান্ন সামগ্রী নিয়ে তারা মেলায় এসেছেন। বেচাকেনাও বেশ ভাল বলে জানান তারা।
ছোট-মাঝারি ও বড় আকারের ‘মাছ’ মিষ্টি, লাভ মিষ্টি, কদম মিষ্টি, চমচম, হাসিখুশি, কালোজাম, স্পঞ্জ মিষ্টি, ছানার জিলাপী, জিলাপী, লাড্ডু, মুরিমুরকি, কদমাসহ নানা রকমের মিষ্টান্ন সামগ্রী রয়েছে মেলায় আসা দোকানগুলোতে। এর মধ্যে বড় আকারের মিষ্টি ২০০ টাকা কেজি, মাঝারি আকারের মিষ্টি ১৮০ টাকা কেজি, ছোট আকারের মিষ্টি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ফ্রেব্রুয়ারি ৮, ২০১৭
এমবিএইচ/জিপি/আরআই
** ৮২ কেজির বাঘাইড়ের দাম ১ লাখ ১৫ হাজার!
** পোড়াদহের আড়তে একদিনেই বিক্রি ১০ কোটি টাকার মাছ