বিশেষজ্ঞদের মতে, এর সঠিক কোনো তথ্য না পাওয়া গেলে এবং অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে না পারলে বাংলাদেশের সমুদ্র বিজয়ের সুফল খুব উল্লেখযোগ্য হবে না।
বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পরমাণু শক্তি কমিশন মিলনায়তনে ন্যাশনাল ওসেনগ্রাফিক অ্যান্ড মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের আয়োজনে ব্লু -ইকোনমির ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং পরিবেশগত গবেষণার ওপর এক সেমিনারে এ মত দেন বিশেষজ্ঞরা।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে গবেষণা প্রধান সিরাজুর রহমান খান বলেন, ব্লু -ইকোনমির ওপর বিস্তারিত জরিপ করতে হবে এবং একটি বেসলাইন ডাটা থাকতে হবে। যার ফলে সমদ্রের অবস্থা সর্ম্পকে একটি পরিষ্কার ধারণা আসবে। আমরা কি পরিমাণ সম্পদ লাভ করবো।
এছাড়া দক্ষ জনবল, দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে তথ্য ও পরিসংখ্যান বিনিময়, সমুদ্রের ৪০ কিলোমিটারে নিয়মিত পরিদর্শন, সার্ফিং, স্কুভা ড্রাইভিংয়ের মতো পর্যটনবান্ধব বিষয়গুলো যোগ করতে সমীক্ষা করা, সরকারি-বেসরকারি লোকের কর্মসংস্থান তৈরির ওপর গুরুত্বরোপ করেন।
ব্লু -ইকোনমির উল্লেখযোগ্য খাত হিসাবে মাছ ধরা, পর্যটন, বন্দর এবং অপরিশোধিত এনার্জিকে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমানে সেন্টমার্টিনে দৈনিক প্রায় ১০ হাজার পর্যটক যাচ্ছেন, অথচ ২০১০ সালে যেতেন ৩ হাজার। আমরা কত পর্যটককে সুযোগ করে দেবো, সেটিও ভেবে দেখতে হবে।
পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নায়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
মন্ত্রী বলেন, ব্লু -ইকোনমি নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এখনই সব বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। ব্লু -ইকোনমিতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে নৌ-বাহিনীর সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইকোনমি সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৭
এমএন/ওএইচ/পিসি