ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

দেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ ধাতু জাদির অভিষেক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
দেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ ধাতু জাদির অভিষেক দেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ ধাতু জাদির অভিষেক-ছবি: বাংলানিউজ

বান্দরবান: বান্দরবানে দেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ ধাতু জাদিতে (রাম জাদি) অনুষ্ঠিত হয়েছে থিদ স্থাপনা অভিষেক ও উৎসর্গ অনুষ্ঠান। এর মধ্য পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে ১৭৫ ফুট উচ্চতার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রাম জাদি।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের পার্শ্ববর্তী রোয়াংছড়ি সড়কের হদা বাবুর ঘোনা এলাকায় রাম জাদিতে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা ও রাম জাদির প্রতিষ্ঠাতা ধর্মীয় গুরু উ প ঞ ঞা জোত থের প্রমুখ।

এছাড়া মায়ানমারের বেশ কয়েকজন সর্বোচ্চ ধর্মীয় খেতাবধারী বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা এ উৎসবে যোগ দেন।

এসময় জাদিটির ওপরের অংশে বৌদ্ধ ধাতু স্থাপন করা হয় এবং সে সঙ্গে ভক্তদের দান করা স্বর্ণ, হিরা, মুক্তা ও বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী উৎসর্গ করা হয়।

জাদি কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৭৫ ফুট উচ্চতার এটিই দেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ জাদি। সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে যার উচ্চতা প্রায় ১৬শ’ ফুট। শুক্রবার এ জাদিতে স্থাপন করা হয় গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বা পবিত্র ধাতু।

এছাড়া শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) উৎসর্গ করা হবে জাদিটি। এ উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে জাদি প্রাঙ্গণে।

রাম জাদির তত্ত্বাবধায়ক শীলজ্যোতি বড়ুয়া বাংলানিউজকে জানান, দি ওয়ার্ল্ড বৌদ্ধ শাসন সেবক সংঘ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা উ পঞ ঞা জোত মাহাথেরো রাম জাদিটি নির্মাণ করেছেন। মায়ানমার, চীন, থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ ট্যাম্পলগুলোর আদলেই রাম জাদি নির্মাণ করা হয়েছে। এটিতে ছোট-বড় সব মিলিয়ে ১০০টি বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে। জাদির কাছেই রয়েছে বিহার। এটি এখন দেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ জাদি।

জাদির প্রতিষ্ঠাতা উ পঞ ঞা জোত মহাথের বাংলানিউজকে জানান, জাদিটির মূল উচ্চতা প্রায় ১৭৫ ফুট। এর আগে নির্মিত স্বর্ণমন্দিরের উচ্চতা ৮০ ফুট। প্রায় একযুগেরও বেশি সময় ধরে জাদিটি নির্মাণ করা হয়েছে। অভিষেক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এটি পূর্ণতা পাবে। শুধু ভক্তরাই নয় এটি দেশের সব মানুষের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

২০০৫ সালে জেলা শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে রোয়াংছড়ি সড়কের হদা বাবুর ঘোনা এলাকায় পাহাড়ের চূড়ায় জাদিটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পরে ২০১২ সালে জাদিতে স্থাপন করা হয় বৌদ্ধ মূর্তি ও ধাতু। জাদিটিকে আকর্ষণীয় করতে স্বর্ণাভাব রং দেওয়া হয়। এটির অভ্যন্তরে রয়েছে ছোট-বড় পিতলের ১০টি বৌদ্ধ মূর্তি। আর জাদির ওপরের অংশে রয়েছে ৯০টি মূর্তি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
আরবি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।