দায়িত্ব পালনকালে সন্তানকে কাজের বুয়া অথবা কোনো প্রতিবেশীর কাছে রেখে যেতে হয়। সন্তানকে বাসায় রেখে এসে নিশ্চিন্ত মনে কাজ করা সম্ভব নয় জানিয়ে এপিবিএন সদর দফতরে একটি ডে-কেয়ার হোম স্থাপন করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার এপিবিএন’র কল্যাণ সভায় নারী সদস্যদের পক্ষ থেকে এই দাবি জানান ১১ এপিবিএন’র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী রুবায়াত রুমী।
সভায় উপস্থিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটে ডে কেয়ার হোম রয়েছে। যেখানে শিশুদের রেখে নিশ্চিত মনে দায়িত্ব পালনে যেতে পারেন নারী সদস্যরা। কিন্তু এপিবিএন’র সদস্যদের শিশু সন্তানদের জন্য কোনো ডে-কেয়ার হোম নেই।
সভায় বক্তারা জানান, উত্তরায় এপিবিএন’র সদর দফতরে পাঁচটি ব্যাটালিয়ন ও ডিআইজি অফিসে প্রায় ৪ হাজার সদস্য কর্মরত রয়েছেন। এসব সদস্যের তিনবেলার খাবার তৈরির জন্য রয়েছে মাত্র একজন বাবুর্চি। এতে সঠিক সময়ে খাবার পাওয়া যায় না। না খেয়েই অনেকে দায়িত্ব পালনে চলে যান। এছাড়া রয়েছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর স্বল্পতা।
এমন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে বাবুর্চি ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগের দাবিও জানান তারা।
কল্যাণ সভায় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এডিশনাল আইজিপি) মো. মোখলেসুর রহমান এপিবিএন সদস্যদের তুলে ধরা দাবিগুলো বিবেচনা করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এপিবিএন ইউনিট প্রধানকে দাবিগুলো প্রজেক্ট আকারে তৈরি করে তা মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে নির্দেশ দেন।
কল্যাণ সভায় এসপিবিএন সদস্যরা আবাসন সংকট, বাড়ি ভাড়া সুবিধা, রেশন সুবিধা, শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ, ইউনিটের অভ্যন্তরীণ পদায়ন ও রদবদলের ক্ষমতায়নসহ নানা দাবি তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
এসজেএ/আরআর/টিআই