ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশালে ১ হাজার ৩১৬ ছাত্র-ছাত্রীকে পুরস্কার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
বরিশালে ১ হাজার ৩১৬ ছাত্র-ছাত্রীকে পুরস্কার বরিশালে ১ হাজার ৩১৬ ছাত্র-ছাত্রীকে পুরস্কার-ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: বই পড়ে নিজের উৎকর্ষতার পরিচয় দেওয়ার জন্য প্রথমবারের মতো বরিশালের এক হাজার ৩১৬ জন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে বছর জুড়ে বই পড়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিজয়ীদের মধ্যে এ পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে ও গ্রামীণ ফোনের সহযোগিতায় এ পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

সকাল সাড়ে ৮টায় দিকে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।

উৎসবে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ও টিভি ব্যক্তিত্ব আলী ইমাম, বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার গাউস, জেলা প্রশাসক ড. গাজী সাইফুজ্জামান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মেরী সূর্য্যানী সমাদ্দার, গ্রামীণফোনের বরিশাল অঞ্চলের রিজিওনাল হেড আহসান হাবিব ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শরিফ মাসুদ প্রমুখ।
 
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের আওতায় ২০১৬ সালের বরিশাল নগরের ৩১টি বিদ্যালয়ের প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী বই পড়ার কর্মসূচিতে অংশ নেয়। তাদের মধ্যে মূল্যায়ন পর্বে এক হাজার ৩১৬ জন শিক্ষার্থী কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে, তাদের পুরস্কার দেওয়ার জন্য গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, একটি জাতি বড় হতে গেলে প্রথমে লাগে শিক্ষা। তারপর বুদ্ধি, দেশপ্রেম, শক্তি ও সাহস। কিন্তু সবচেয়ে বেশি লাগে শিক্ষা। বিশ্বসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ লেখকদের বইগুলো থেকে তোমরা সে শিক্ষা পেতে পারো।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র তোমাদের সে বইগুলো পড়িয়ে থাকে। তোমরা জানো, আলো দেখতে খুব সুন্দর, কিন্তু সে আলো উৎপত্তি হয় ভয়ঙ্কর আগুন থেকে। বইয়ের ভেতর সে ভয়ঙ্ককর আগুন লুকিয়ে থাকে। সবাইকে আরও বেশি বেশি বই পড়ার আহ্বান জানান তিনি।

শিশু সাহিত্যিক আলী ইমাম প্রথমেই পুরস্কার প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচির পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সারা পৃথিবীর অদ্বিতীয়। তোমরা আগামীতে আরও বেশি বেশি করে বই পড়বে। কারণ বইয়ের ভেতর থাকে আলো, সে আলো তোমাদের ভেতর ঢুকলে তোমরা আলোকিত হবে। তোমরা আলোকিত হলে বাংলাদেশ আলোকিত হবে।
 
বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার গাউস বিজয়ী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধকারে রই। তাই সবাইকে বেশি বেশি বই পড়ার আহ্বান জানান তিনি।
 
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শরিফ মাসুদ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এ পথচলায় সবার সহযোগিতা উত্তরোত্তর আরও প্রসারিত হবে এবং আগামী বছর এ বই পড়া কর্মসূচির সদস্য সংখ্যা আরও উন্নতি হবার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের আওতায় সারাদেশে প্রায় দুই হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই পড়া কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। দুই হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় দুই লাখ ছাত্র-ছাত্রী বইপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল মহানগরীর স্কুল সমূহের বিজয়ী প্রায় ১৮ হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে বর্ণাঢ্য উৎসব মুখর পরিবেশে পুরস্কার দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
এমএস/আরবি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।