শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রুনির ভাই নওশের আলম রাতে ফার্মগেটের তেজকুনী পাড়ার নিজ বাসায় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘এলিট ফোর্স র্যাবের তদন্তে আন্তরিকতার অভাব আছে বলে মনে হয়েছে। আর তা না হলে তদন্ত কর্মকর্তার দক্ষতা নেই।
নওশের জানান, আমেরিকা থেকে ভিসেরা রিপোর্ট যেটা এসেছে সে বিষয়ে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। যাদের ডিএনএ সংগ্রহ করে আমেরিকায় পাঠানো হয়েছিল, অভিযুক্তদের সঙ্গে ডিএনএ মিললেও তা পরে জেনেছেন বলে জানান তিনি।
সাগর-রুনির একমাত্র সন্তান মেঘের বর্তমানে মানসিক অবস্থা কী তা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের নওশের আলী বলেন, ‘মেঘের মানসিক অবস্থা এখন ভালো। ’ তবে ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন মেঘের মামা।
হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নিয়ে মেঘ ও তার নিজের অবস্থান নিয়ে নওশের আলী বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পরপরই তদন্তের সময় আমি হয়রানির শিকার হয়েছি। মেঘের ওপরও ওই সময় চাপ সৃষ্টি হয়। মানসিক অবস্থাও খারাপ ছিল। তা কাটিয়ে উঠেছে মেঘ।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের নিজ বাসায় খুন হন। এ ঘটনার পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
আরএটি/আরআইএস/এসএইচ