এছাড়াও প্রবেশ পথ বন্ধ রয়েছে ৮ বছর। সে পথ দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে পাকা মার্কেট।
সম্প্রতি কমলনগর উপজেলায় মহান ভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি তুলে ধরেন। এসময় শহীদ মিনারের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখার দাবি জানান হাজিরহাট উপকূল ডিগ্রি কলেজের আবদুল মোতালেব ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার শফিক উদ্দিন।
জানা গেছে, ১৯৭২ সালে হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের সামনে শহীদ মিনারটি নির্মিত হয়। এতে স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষিত স্থানীয় একদল উদ্দীপ্ত তরুণ আপন মহীমায় নির্মাণ করে শহীদ মিনারটি। শহীদ মিনারে রয়েছে দুইটি স্তম্ভ। একটির রং কালো যাতে রয়েছে পাঁচটি ক্ষত চিহ্ন, যা দিয়ে বুঝানো হয়েছে বাঙালির অর্জন-(১৯৫৬, ১৯৬২, ১৯৬৯, ১৯৭০ এবং ১৯৭১ সাল) অপরটিতে লাল-সাদা ও পাথরের ধাপ। যা দিয়ে বাঙালির বিভিন্ন সংগ্রামের পরিক্রমা বুঝানো হয়েছে। ওপরে রয়েছে উদীয়মান সূর্ষ। এই শহীদ মিনারটির প্রধান পরিকল্পনাকারী ও ডিজাইনার ছিলেন তৎকালীন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র অ্যাডভোকেট খায়ের এজাজ মাসুদ।
নির্মাণ বাস্তবায়ন ও সহযোগিতায় ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আবুল বারাকাত দুলাল, আবু নুর সেলিম। তৎকালীন ছাত্রনেতা খায়ের ইমতিয়াজ মাসুদ দাউদ, প্রয়াত মাস্টার আবদুল হাদী ও ব্যবসায়ী বিনোদ বিহারীসহ কয়েকজন।
ভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, শহীদ মিনারটির সামনে টয়লেটের ট্যাংকি ও পাশে পাকা মার্কেট নির্মাণের কারণে শহীদ মিনারের প্রবেশ পথ বন্ধ হয়ে যায়। পাকা ভবনের কারণে আড়াল হয়ে যায় বাঙালির স্মৃতির মিনার। যে কারণে গত ৮ বছর থেকে মহান ভাষা দিবসে ফুল দয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব হয় না।
শহীদ মিনার নির্মাণের প্রধান পরিকল্পনাকারী ও ডিজাইনার খায়ের এজাজ মাসুদ বলেন, শহীদ মিনারটি অযতেœ-অবেহলায় রয়েছে। এটি দ্রুত সংস্কার ও সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা বলেন, শহীদ মিনারটির মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
আরএ