শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে কথাগুলো বলছিলেন ফল ব্যবসায়ী মো. রায়হান (৫১)। তিনি ভ্যান গাড়িতে করে ফল বিক্রি করেন।
তার গ্রামের বাড়ি পাবনার ভাংগুরা থানায়। তিনি সাভারের বাজার রোড এলাকায় ছোট্ট একটি বাসায় স্ত্রী ও চার ছেলে মেয়ে নিয়ে বসবাস করেন।
তিনি বলেন, চার ছেলে-মেয়ের মধ্যে বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। আর ছোট মেয়ের কথাটা বেশ গর্ব করেই বলেন তিনি। “ আরতো মাত্র কয়েকটা বছর। আল্লাহ আমার কষ্টের দিন শেষ করবো। আমার ছোট মেয়ে এবার ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হইছে। সে ভর্তি তালিকায় মধ্যে ৬ নম্বর হইছে। আমি কইছি এক নম্বর হইতে হইবো। বাংলাদেশের একজন শ্রেষ্ঠ মানুষ হইতে হবে। যদি মাটি কাইটে খাও তাও যেন মাটি কাটার সর্দার হও। ”
রায়হান বলেন, ‘আমার বড় একটি ইচ্ছা আছে, মানুষ যেন আমার সন্তানকে স্যার বলে ডাকে! আমি মানুষকে স্যার বলে ডাকি আমার সন্তানকে যেন মানুষ অনেক সম্মান দেয়, স্যার বলে।
রায়হান সামান্য কিছু পুঁজি দিয়ে ভ্যানগাড়িতে ফলের ব্যাবসা করেন। সাভারের পাইকারি ফলের আড়ৎ থেকে আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙ্গুর এসব ফল কিনে নিয়ে সাভারের আশপাশের এলাকা গুলোতে বিক্রি করেন।
তিনি বলেন, কাচামালের ব্যবসাতো কখনো লাভ হয়, আবার কখনো লোকসান হয়।
যা পাই তা দিয়ে কোনো ভাবে সংসার চালাই। ফুটপাতে ব্যবসা করতাম পুলিশ তোলে দিয়েছে। এখন ভ্যানগাড়িতে মাল বেচি। আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে। খারাপ রাখেনাই আল্লাহ, ভালোই রাখছে। মানুষকে ঠকিয়ে খাই না। কষ্ট করে কাজ করে খাই। ছোট মেয়েটা ডাক্তার হলে আমার কষ্টের দিন শেষ হবে।
তবে সরকার যদি ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের জন্য কিছু করে বা কোনো জায়গায় বসার ব্যবস্থা করে তাহলে খুব উপকার হতো যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
বিএস