শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে লালমনিরহাট শহরের হাড়িভাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছাত্রী ওই প্রতিষ্ঠানের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী জাহাঙ্গীর আলম হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা এলাকার ছামছুল হকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ দিন থেকে জাহাঙ্গীর ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করছিলো। কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানোর পরেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিন (শনিবার) সকালে প্রতিষ্ঠানের ভেতরেই ওই ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতে জখম করে জাহাঙ্গীর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় লালমনিরহাট আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করার পরামর্শ দেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা জানান, আরডিআরএস বাংলাদেশ’র তত্ত্বাবধায়নে ছিলো আমার মেয়ে। তাই সব দায় তাদেরই। এ ঘটনায় মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্রটির রিসোর্স টিচার লতিফা আখতার জানান, জাহাঙ্গীর সব সময় রেগে থাকতো। কয়েক মাস আগে তাকে শাসন করতে গেলে জাহাঙ্গীর তার উপর চড়াও হয়।
তবে জাহাঙ্গীর আগেও ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করতো- বিষয়টি অস্বীকার করে হোস্টেল সুপার আহসান উল্ল্যাহ বলেন, জাহাঙ্গীর তাদের হেফাজতে রয়েছে। আলোচনা সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আজমল হক বাংলানিউজকে জানান, ধারালো শস্ত্রের আঘাতে মেয়েটির একটি হাড় কেটে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, ওই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
এটি