রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরের মার্কস টাওয়ারে মার্কস মেডিকেল কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
মাজদার হোসেন মামলার কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মাজদার হোসেন মামলায় বলা হয়েছে, যে শৃঙ্খলাটা আলাদা সার্ভিস থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করেছিলাম, এই ড্রাফট রুলস কন্ডাক্ট রুলস এবং ডিসিপিলিন রুলস বিচারপতিরা দেখবেন। তাদের ব্যপারে সে ক্ষেত্রে কিছু কিছু জায়গা এরকম ছিল আমাদের মনে হচ্ছিল আগের যা গেজেট আছে এটা থাকলে....। রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, এটার গেজেট করার প্রয়োজন নেই’।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা যেখানে যেখানে প্রয়োজন, কন্ডাক্ট রুলসের যে অর্ডার আছে। যেখানে যেখানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ব্যপারে ‘ইনকনসিটেন্সি’ দেখা দিয়েছে, যেখানে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলোর পরিবর্তন ও পরিমার্জনের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে এবং পরিবর্তন ও পরিমার্জন করা হয়েছে। সে কারণে সময় চেয়েছি গেজেট করার জন্য’।
‘রাষ্ট্রপতি একবার বলেছেন, গেজেট লাগবে না। সেক্ষেত্রে আবার রিকসিডারেশনের জন্য অর্থাৎ পরিবর্তন এবং পরিমার্জন যেগুলো করা হচ্ছে, সেগুলোসহ তার কাছে যাবো। সেটি শিগরিই হবে। রাষ্ট্রপতির আদেশ পেলেই গেজেট হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দ্বিমুখি কখনোই থাকতে চাই না। মাঝে মাঝে কিছু কিছু শব্দের ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আমাকেও ব্যাখ্যা দিতে হয়। যেন কোনো সময় ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়। প্রধান বিচারপতি যেটা বলেছেন, অত্যন্ত সুচিন্তিত বলে মনে করি। আমরা কোনো বিপরীত পথে হাঁটছি না’।
মার্কস গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারিক মাসুদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সালান, মার্কস গ্রুপের চেয়ারম্যান ফরিদা মাসুদ খান, উপ-ব্যবস্থাপক ডা. ইকবাল মাসুদ খান, মার্কস মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
এসএম/জিপি/এএসআর