ঢাকা, শনিবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ১ মার্চ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭
কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ১ মার্চ

সিলেট: একাধারে চারবার পেছালো সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। এবার মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে আগামী ১ মার্চ (বুধবার)।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতে আসামিরা হাজির না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান।

ইতোপূর্বে ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি এবং ৮ ফেব্রুয়ারি সাক্ষী ও আসামি না আসার জটিলতায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানো হয়েছিলো।

সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বুধবার মামলার ধার্য তারিখে জামিনে থাকা সিলেট সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র গৌছসহ জামিনে থাকা আসামিরা আদালতে হাজির থাকলেও সাক্ষী ও ঢাকার কাশিমপুর কারাগারে থাকা আসামিদের কেউই হাজির হননি।

যে কারণে সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আলোচিত এ মামলায় ১৭১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য আব্দুর মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।

২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে এ মামলার সম্পূরক চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি সিলেট জোনের এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল।

ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর থেকে কারাগারে ছিলেন আরিফ-গৌছ। দীর্ঘ দুই বছর কারাবাসের পর গত ৪ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে জামিন বহাল থাকায় কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭
এনইউ/জিপি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।