১৩ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) থেকে শুরু হয়ে এ পার্লামেন্টারি শুনানি শেষ হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার)।
নীল পৃথিবী: এজেন্ডা ২০৩০ এর পরিপ্রেক্ষিতে মানবকল্যাণ নিশ্চিত করতে সমুদ্র সংরক্ষণ ও ধরিত্রী সুরক্ষা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) এবং জাতিসংঘ যৌথভাবে এ শুনানির আয়োজন করে।
অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে বাংলাদেশের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল এ শুনানিতে যোগ দেন। বাংলাদেশ ডেলিগেশনের অন্য দু’জন সদস্য হলেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সারোয়ার কামাল ও কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।
মঙ্গলবার শুনানির শেষ দিনে সমুদ্র ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এক আলোচনায় বাংলাদেশ ডেলিগেশনের প্রধান ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জাতিসংঘ সমুদ্র আইনসহ সমুদ্র বিষয়ক অন্যান্য আইনের বাস্তবায়নের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
এক প্যানেল আলোচনায় সংসদ সদস্য সাইমুম সারোয়ার কমল বলেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষরকারী প্রথম সারির দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশই প্রথম নিজস্ব তহবিল থেকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে। ’
সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইপিইউ’র প্রেসিডেন্ট সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট পিটার থমসন, আইপিইউ’র মহাসচিব মার্টিন চুনগং।
আইপিইউ’র সভাপতি সমাপনী বক্তৃতায় বলেন, ‘বর্তমান গ্লোবাল ভিলেজের বাস্তবতায় সংসদ সদস্যরা নিজ দেশ ছাড়াও বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে সম্মিলিত ভূমিকা রাখছেন। যা সমুদ্রসহ অন্যান্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা বাস্তবায়নকে আরও এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে। ’ তিনি এ বছরের এপ্রিলে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য আইপিইউ’র সম্মেলনে যোগদানের জন্য সংসদ সদস্যদের আহ্বান জানান।
বিশ্বের ৫৫টি দেশের ১৭৯ জন সংসদ সদস্যসহ ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ১৯টি এনজিও’র প্রতিনিধিরা এ পার্লামেন্টারি শুনানিতে যোগ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭
আরআর/এসএইচ