বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেটের শুন্যরেখা দিয়ে ভারতের হিলি অভিবাসন পুলিশের ওসি নাজির হোসেন ওই দুই কিশোরকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি মো. আফতাব হোসেনের কাছে হস্তান্তর করেন।
এসময় সেখানে ভারতের হিলি বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার ইন্সপেক্টর সরদার শিং ও বিজিবি হিলি সিপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার আব্দুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন।
ফেরত আসা দুই কিশোর হলো-কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ফরিশপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে আল আমিন (১৮) ও রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর কানাপাড়া গ্রামের পিয়ারুল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলাম (১৬)।
ফেরত আসা কিশোর আল আমিন জানায়, স্থানীয় এক ব্যক্তি নেপালে ভালো বেতনের কাজ দেওয়ার কথা বলে ২০১৫ সালের জুন মাসের দিকে হিলি সীমান্ত দিয়ে তাকে ভারতে পার করে দেয়। পরে সেখান থেকে কলকাতা যাওয়ার জন্য বালুরঘাট বাসস্ট্যান্ডে গেলে পুলিশ তাকে আটক করে।
এদিকে, অপর কিশোর মনিরুল ইসলাম বলে, কলকাতাতে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করি। পরে কলকাতা যাওয়ার পথে পুলিশের হাতে আটক হই।
পরে তাদের দু’জনকেই ভারতের বালুরঘাট চাইল্ড লাইন নামের একটি শিশু শোধনাগারে পাঠানো হয়।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফতাব হোসেন বলেন, ওই দুই বাংলাদেশি কিশোর বিনা পাসপোর্টে ভারতে অনুপ্রবেশ করলে পুলিশ তাদের আটক করে। ১৮’র নিচে বয়স হওয়ায় তাদের শিশু শোধনাগারে রাখা হয়। সেখানে দীর্ঘ ১৭ থেকে ১৮ মাস আটক থাকার পরে দু’দেশের আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর তাদের ভারতীয় অভিবাসন পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। কাগজপত্রের প্রক্রিয়া শেষ করে তাদের অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭
আরএ