এ ঘটনায় মুরাদের সৎ মা অঞ্জনা বিবি (৩০), বাবা আব্দুর রাজ্জাক (৪৫) ও প্রতিবেশী সাদ্দাম হোসেনকে (২৭) আটক করা হয়।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মুরাদ উপজেলার বিলকরিল্যা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে এবং বিলকরিল্যা স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল মুরাদ। বুধবার বিকেলে স্থানীয়রা বাড়ির পাশের জঙ্গলে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
তিনি আরও জানান, মুরাদের জন্মের পর পারিবারিকভাবে তার মাকে তালাক দেন আব্দুর রাজ্জাক। তালাক দেওয়ার কয়েকদিন পর পাশের গ্রামের অঞ্জনা বিবি নামে একটি মেয়েকে আবার বিয়ে করেন রাজ্জাক। এক বছরের মাথায় একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেয় অঞ্জনা। এরপর থেকেই মুরাদকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করতে থাকেন সৎ মা অঞ্জনা।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার কোনো এক সময় মুরাদকে মেরে ফেলে বস্তাবন্দি করে বাড়ির পাশের জঙ্গলে ফেলে আসে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭
আরবি/