ঢাকা, শনিবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণে আরও সতর্ক, সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭
পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণে আরও সতর্ক, সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা

ঢাকা: পাঠ্যপুস্তকে ভুল থাকা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার পর এবার ম‍ুদ্রণের কাজে নিয়োজিতদের আরও সতর্ক হয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সঠিক সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে একই সঙ্গে একটি ‘সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা’র মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের কাজ শেষ করা হবে।

চলতি বছর পাঠ্যপুস্তকে ভুলত্রুটি ধরা পড়ার পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবার আগেভাগেই বই মুদ্রণের যাবতীয় কাজ শুরু করেছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বই মুদ্রণের কাজ করবে।

 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, সম্প্রতি এনসিটিবির সঙ্গে এক বৈঠকে প্ল্যান অব অ্যাকশন চূড়ান্ত করা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকে ভুলত্রুটির ব্যাপারে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সভায়।  

এবারও আন্তর্জাতিক দরপত্রে মুদ্রণের কাজ করা হবে জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ভবিষ্যতে আলাদাভাবে প্রাথমিকের বই ছাপানোর বিষয়টি পরিকল্পনায় রয়েছে।  
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চলতি বছরের জন্য বিদেশি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের দাখিল করা কাগজপত্র সরিয়ে ফেলার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দরপত্র মূল্যায়নে উন্মুক্তকরণের স্থানে সিসি ক্যামেরা বসানো ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।  

গত ৮ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ের সভায় চলতি বছরের পাঠ্যপুস্তকে ভুল ও অসঙ্গতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ভুল ছাপানো এবং এ সংক্রান্ত খবরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে জানানো হয়।  

ভবিষ্যতে যেন এমন ভুল না হয় সে ব্যাপারেও সভায় ব্যাপক আলোচনা করা হয়েছে।  
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক) ড. আবদুল মান্নান ব্যাখ্যা দেন এবং ভুল সংশোধন করে আগামী বছরের বই ছাপানো হবে বলে জানান।  

প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন শেষে ৯ মার্চের আগে সচিবের সভাপতিত্বে ন্যাশনাল কমিটি ফর কারিকুলামের সভা অনুষ্ঠিত হবে।  

নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে মানসম্পন্ন বই তুলে দিতে এনসিটিবি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় থেকে তিনজন ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়।  

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দরপত্র নির্দেশিকা বিশ্বব্যাংকে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ; ২৫ এপ্রিল দরপত্র উন্মোচন; ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে’র মধ্যে দরপত্র মূল্যায়নকালীন নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড ইস্যু করার আগে সভা আহ্বান; ১০ জুন কার্যাদেশ দেওয়ার পূর্ব দিন নির্ধারণ; ৯ জুলাই এলসি খোলার পূর্ব দিন নির্ধারণ করা হয়।   

এনসিটিবি পাঠ্যপুস্তকের সার্ভিস চার্জ ১ টাকা ৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ৮ পয়সা নির্ধারণের দাবি করলে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়।  

বাংলাদেশ সময়: ০২১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।