পেছনে অফিস ভবনে তালা। পাশেই স্টাফ কোয়ার্টার।
বেলা ১২টা নাগাদ মূল অফিসের তালা খুললেন ইকবাল হোসেন মিয়া। বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখা গেলো- ময়লার আস্তর পড়েছে ‘ওয়ার্কিং টেবিল’চেয়ারগুলোতে। মোট ৮ কক্ষের একটিতে টেবিল-চেয়ারে তো রীতিমতো বালুর স্তুপ। হাট করে খোলা আছে গোটা দুই কক্ষের জানালা।
দুপুর ১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর ইকবাল মিয়া জানালেন, এ অফিসের দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-পরিচালক ড. মো. নুরুল ইসলাম ঢাকায় আছেন। মাঝে মাঝে এখানে এসে ঘুরে যান তিনি।
কিন্তু পরে আসা অফিস সহকারী উমায়ের হোসেন বললেন, স্যার (উপ-পরিচালক) সারা মাসেও অফিসে আসেন না। আর আমাদের অফিসে কোন কাজকর্ম নেই। স্যার সব সময় ঢাকায় থাকেন।
তাহলে এ অফিসে আপনারা কি করেন এমন প্রশ্নের উত্তরে অফিস সহকারী বলেন, আমরা শুধু সারাদিন অফিস দেখাশোনা করি।
অফিসে না পেয়ে কল করা হয় উপ-পরিচালক নুরুল ইসলামের মোবাইলে। ঢাকায় আছেন জানিয়ে তিনি বললেন, ওখানে (আঞ্চলিক কার্যালয়) উপ-পরিচালক পদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। মাঝেমধ্যে তো ওখানে যাই।
গোটা অফিস ঘুরে দেখা গেলো ডাটা এন্ট্রি অপারেটর থাকলেও কোন কম্পিউটারই নেই হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন আঞ্চলিক অফিসে। ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর এ কার্যালয়ে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে যোগ দেন ইকবাল মিয়া। কম্পিউটার তো বটেই, হাওর সম্পর্কিত কোন তথ্যও তার কাছে নেই বলে অবলীলায় জানান তিনি।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্ব তারাপাশায় প্রায় ৫০ শতাংশ জায়গার উপর হাওর উন্নয়ন বোর্ড অফিস নির্মাণ করা হয় ২০০০ সালে। ২০১৬ সালে সেটাকে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের আঞ্চলিক অফিস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে অফিস স্টাফদের বেতন নিয়মিত হলেও এ অফিস হাওরের উন্নয়নে কোনো কাজেই লাগছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬
জেডএম/