বিজ্ঞানলেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়ের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) শাহবাগে ‘মুক্তবুদ্ধি চর্চা ও সামাজিক ন্যায়বিচার: কোথায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ? শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ইমরান এইচ সরকার বলেন, একজন-একজন করে ব্লগার খুন হয়েছেন আর সরকারের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের নসিহত দিয়েছেন, আপনারা এটা লিখবেন, ওটা লিখবেন না।
সরকারের মদদেই ধারাবাহিক ব্লগার হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ইমরান।
ইমরান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে একজন সাংসদকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তারা এটিকে 'ক্লু-লেস' হত্যাকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। সে সময় ক্ষমতাসীন দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করে বক্তব্য এসেছিল। এখন জানা গিয়েছে আসল খুনি তাদের মহাজোটের ভেতরেই ঘাপটি মেরে বসেছিলো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদিচ্ছায় সে সত্যটি আমরা জানতে পেরেছি। তাদের এই আন্তরিকতাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। একই সাথে প্রশ্ন রাখতে চাই, দুই মাসের ভেতরে যদি একটি ‘ক্লু-লেস’ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়, তবে কেন ত্রিস্তর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে হওয়া অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন দুই বছরেও দাখিল করা সম্ভব হয় না?
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭
টিআই