সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আয়োজিত চতুর্থ এশিয়ান এলপিজি সামিটের দ্বিতীয় দিনের সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
জসীম উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে গ্রাহকেরা প্রথমেই জানতে চান এলপিজি সিলিন্ডার নিরাপদ কিনা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি মাসে সাড়ে ৩ লাখ এলপিজি সিলিন্ডারের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু আমরা দেশে মাত্র ১ লাখ সিলিন্ডার উৎপাদন করতে পারছি, বাকি সিলিন্ডার আমদানি করতে হচ্ছে। আমদানি করা এসব সিলিন্ডারের মান নির্ণয়ে আমাদের দেশে কোনো পরীক্ষাগার নেই। এজন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পরীক্ষাগার তৈরি করতে হবে।
এলপিজি সিলিন্ডারের সঠিক দাম নির্ধারণে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে জসীম বলেন, বাংলাদেশে সঠিকভাবে এলপি গ্যাসের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে হলে সরকারকে এর মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। কিন্তু এখনই কোনো ভ্যাট বসানো যাবে না। বেশি দামে সিলিন্ডার কিনলে ক্রেতারা এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হবে।
আন্তর্জাতিক এলপিজি অ্যাসোসিয়েশন, অল ইভেন্ট গ্রুপ-সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশের গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড এই সামিট সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
এতে বসুন্ধরাসহ দেশি-বিদেশি ৬৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। যারা মূলত এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বাজারজাত, সিলিন্ডার ও অন্যান্য খুচরা যন্ত্রাংশের উৎপাদক হিসেবে কাজ করছে।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন- ওমেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের এজিএম তানজিন চৌধুরী, টোটাল গ্যাস বাংলাদেশের জেনারেল ম্যানেজার মুজিবর রহমান ও লাফস গ্যাসের সিইও মো.সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭
এমএ/আরআর/টিআই