সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মঈনুল খান।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, আদম আলী সকালে মাসকাট থেকে চট্টগ্রামে নামেন।
সন্দেহ হলে শাহজালাল বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, টাকার বিনিময়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসার পথে স্বর্ণগুলো জনৈক রহমান বলে এক যাত্রী তার কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর তিনি স্বর্ণেরবারগুলো তার প্যান্টের বেল্ট বাঁধার স্থানে আগে থেকেই প্রস্তুত করে রাখা বিশেষ ফাঁকা জায়গায় লুকিয়ে রাখেন।
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, রহমান এই প্লেনের যাত্রী ছিলেন। তবে গোয়েন্দা তৎপরতা টের পেয়ে আগেই বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী আদম আলীকে শনাক্ত করে বিমানবন্দর কাস্টমস হলে আনা হয় এবং তার প্যান্টের ভেতর থেকে ৩০টি স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়।
দশ তোলার বেশি প্রতিটি বারের মোট ওজন ৩.৪৯৯২ কেজি। আটককৃত স্বর্ণের বাজার মূল্য ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং আটক ব্যক্তিকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
একইসঙ্গে পালিয়ে যাওয়া রহমানকে শনাক্ত ও আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মঈনুল জানান।
এর আগে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) শাহজালাল বিমানবন্দরে এক যাত্রীর মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ট্রান্সফর্মারে লুকানো অবস্থায় প্রায় সাড়ে ৩ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭,২০১৭
এসজে/জেডএস