মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশের মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ থেকে খুলনা রেঞ্জের পুলিশের মহা পরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম মনির উজ জামান এ ঘোষণা দেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মনির উজ জামান বলেন, সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাস মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে পুলিশ।
পেশাজীবী, ব্যবসায়ীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রচার অভিযান ও অপারেশনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাস নির্মূলে কাজ করছে পুলিশ বাহিনী।
প্রথম পর্যায়ে আমরা জেলার ২০টি ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত ঘোষণা করেছি। পর্যায়ক্রমে পুরো বাগেরহাট জেলাকে মাদকমুক্ত করা হবে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন-খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. একরামুল হাবীব, মো. হাবিবুর রহমান, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, জেলা পুলিশিং কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোজাফ্ফার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম টুকু, রিজিয়া পারভীনসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সুশীল সমাজের নেতারা।
এর আগে শহরে পুলিশ বাহিনীর সদস্য, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষদের নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
মাদকমুক্ত ২০টি ইউনিয়ন হচ্ছে-বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ও বিষ্ণুপুর, ফকিরহাটের বেতাগা ও শুভদিয়া, মোল্লাহাটের কোদালিয়া, আড়জুড়ি ও কুলিয়, চিতলমারীর চরবানিয়ারী ও শিবপুর, কচুয়ার মঘিয়া ও ধোপাখালি, মোরেলগঞ্জের জিউধরা, নিশানবাড়িয়া ও রামচন্দ্রপুর, শরণখোলার খোন্তাকাটা, রামপালের মল্লিকের বেড় ও ভোজপাতিয়া এবং মংলার চাঁদপাই, মিঠাখালি ও সুন্দরবন ইউনিয়ন।
পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় মাদকমুক্ত ঘোষণা করা এসব ইউনিয়নের মাদক বিক্রেতা, ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিতে দলমত নির্বশেষে সাধারণ মানুষের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭
আরবি/আরএ