মঙ্গলবার (২৮ ফ্রেব্রুয়ারি) দুপুরে কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, বাস না পেয়ে মানুষ রেলে চড়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে দীর্ঘ লাইন ধরেছেন। লাইনে টিকিট পাওয়া নিয়ে কয়েকদফা হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে।
একই অবস্থা বিমানবন্দর রেল স্টেশনেও। এখানে ঢাকা ছাড়তে কয়েক হাজার মানুষের ভিড় করছে।
মহাখালী বাস টার্মিনাল সূত্র জানায়, টার্মিনাল থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন তারা। এদিকে সায়েদাবাদ ও গাবতলী বাস টার্মিনাল সূত্র জানায়, আন্তঃজেলা রুটের কোনো বাস চলছে না। তবে সিটির ভেতরে বাস চলাচল করছে।
তবে মতিঝিল বিআরটিসির টার্মিনাল থেকে ঢাকার পার্শ্ববতী কয়েকটি গন্তব্যে বাস ছাড়তে দেখা গেছে।
ঢাকার সাভারে ট্রাকচাপায় এক নারীকে হত্যা করার দায়ে গতকাল সোমবার চালকের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এরই প্রতিবাদে সারাদেশে পরিবহন ধমঘট ডাক দেয় শ্রমিকরা।
এর আগে গত রোববার থেকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চালায় শ্রমিকেরা। সেটিরই একই কারণ ছিলো।
মহাখালী বাস টার্মিনালের এনা পরিবহনের ম্যনেজার আতিক বাংলানিউজকে জানান, পূর্বনির্ধারিত শিডিউলে বাস চলছে না। দূরপাল্লার রুটের বিকেল ও রাতের বাস চলাচলও অনিশ্চিত।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সবচেয়ে বেশি বাস চলাচল করে এনা পরিবহনের। দিনে তাদের কয়েকশ বাস যাত্রী আনা-নেয়া করে। এনার সিলেট কাউন্টারের ম্যানেজার মোস্তাফা জানান, যাত্রী কাউন্টারে এসে ফিরে যাচ্ছে। কোনো বাস ছাড়ছে না। কখনও থেকে ছাড়বে তাও বলা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭
এসএ/এসএইচ/এসএইচ