মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে সিনিয়র প্রভাষক আব্দুল লতিফকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাগাতিপাড়া উপজেলা ইউএনও খোন্দকার ফরহাদ আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সোনাপুর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের পরিচালনা কমিটির মেয়াদ ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর শুরু হয়ে গত ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর শেষ হয়।
ওই কমিটিতে তিনি সভাপতি ছিলেন। সেসময় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মহিদুল ইসলাম সরকার নিয়োগ সংক্রান্ত ৫টি রেজুলেশনে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করেন।
সম্প্রতি নতুনভাবে কমিটি গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও বোর্ডে পাঠানো হয়। সেখানেও অধ্যক্ষ তিনশ’ টাকার স্ট্যাম্পে পাঠদান বহাল থাকার অঙ্গীকার নামায় এবং মামলা নেই মর্মে দেওয়া প্রত্যয়নপত্রসহ তিনটি স্থানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করেন।
বিষয়টি নজরে এলে তিনি ওই অধ্যক্ষকে ৬ ফেব্রুয়ারি শোকজ করেন। এর প্রেক্ষিতে ১৪ ফেব্রুয়ারি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে তার জবাব দেন অধ্যক্ষ।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার তার কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ম্যানেজিং কমিটির ১২ জন সদস্যের মধ্যে ৮ জন সদস্য উপস্থিত হন। তাদের মতামতের ভিত্তিতে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে অধ্যক্ষকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। একই সভায় সিনিয়র প্রভাষক আব্দুল লতিফকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭
আরএ