মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সাধারণত অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং পার্শ্ববর্তী দেশের চাহিদার ভিত্তিতে স্বর্ণ চোরাচালান হয়ে থাকে।
স্বর্ণসহ অন্যান্য অবৈধ পণ্য চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে বাংলাদেশের স্থল সীমান্তে ৬৫৩টি বিওপি রয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত বিজিবি ৩৯ দশমিক ৭৯৬ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে। এসব স্বর্ণ উদ্ধারকালে ১৭ জন আসামিকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ও সীমান্ত সড়ক/রিং রোড নির্মাণ করা হলে বিজিবি তার পূর্ণ সক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারবে এবং স্বর্ণসহ অন্যান্য চোরাচালান শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এম এ আবদুল লতিফের অপর আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাইবার ক্রাইম তথা কম্পিউটার সিস্টেমকে ব্যবহার করে সংঘটিত অপরাধসমূহ নিবারণ ও তদন্তের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ অত্যন্ত তৎপর রয়েছে। এ জাতীয় অপরাধ সংঘটিত হলে সংশ্লিষ্ট আইনের মামলা গ্রহণ করে দ্রুত তদন্তের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ জাতীয় অপরাধ উদঘাটন ও তদন্তের জন্য সিআইডিতে একটি সাইবার ক্রাইম স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ