সর্বশেষ দেশ হিসেবে চীন বাংলাদেশকে ১৯৭৫ সালের ৩১ আগস্ট স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে মোট ১৫০টি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মোট ৯৩টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক ও প্রটোকল স্বাক্ষরিত/সম্পাদিত হয়েছে।
সংসদ সদস্য আবদুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, দূর প্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ককে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে বহুবিধ কূটনৈতিক উদ্যোগের ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের তাৎপর্যপূর্ণ, দৃশ্যমান ও ইতিবাচক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের কার্যকর সুসম্পর্ক বিদ্যমান। বিশেষ করে চীন, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বর্তমানে বাংলাদেশ একটি অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিশীল, দায়িত্বশীল ও সক্রিয় রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এ অর্জনের পেছনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহ।
মন্ত্রী জানান, প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে কোন সমস্যা তাৎক্ষণিক মোকাবেলায় সহযোগিতার লক্ষ্যে সকল বাংলাদেশ মিশনে হেল্প ডেস্ক চালু করা হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা দূতাবাসকে জানাতে পারছে এবং দূতাবাসসমূহ তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, কোন দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কারাগারে আটক থাকা বাংলাদেশি নাগরিকের বিষয়ে অবহিত করলে বা অন্য কোন মাধ্যমে সংবাদ পাওয়া গেলে তা যাচাইপূর্বক বাংলাদেশ দূতাবাস সে দেশের কারাগারে আটক বাংলাদেশির বিষয়ে নিশ্চিত হয় বা কনস্যুলার একসেস-এর মাধ্যমে তাদের সঙ্গে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ সাক্ষাৎ করে ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনি সহায়তা প্রদান করে।
তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি উপস্থাপনের মাধ্যমে তাদের মুক্তকরণপূর্বক দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আটককৃত বাংলাদেশি নাগরিকরা যাতে সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত মুক্তি লাভ করতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ দূতাবাস প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তাসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। দূতাবাস মুক্তিপ্রাপ্ত অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য ‘ট্রাভেল পারমিট’ দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ