শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে। হনুফা বেগম মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
হনুফা বেগম বাংলানিউজকে জানান, তার মাঝে মধ্যে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, চোখ থেকে অনবরত পানি পড়া ও নাক দিয়ে রক্ত ঝরতো। এর পর তিনি চিকিৎসার জন্য উপজেলার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে যান। কিন্তু চিকিৎসক তাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেন।
পরে তিনি ২৩ ফেব্রুয়ারি নগরীর ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকার রয়েল সিটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খান আব্দুর রউফের কাছে যান। সেখানে ভর্তি হওয়ার পর ড. খান আব্দুর রউফ তার চিকিৎসা শুরু করেন।
এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি হানুফা হাঁচি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নাক দিয়ে কয়েকটি জীবন্ত পোকা বের হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারিও হাঁচির সঙ্গে বেশ কয়েকটি পোকা বের হয় তার নাক দিয়ে।
নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খান আব্দুর রউফ বাংলানিউজকে জানান, হনুফার এ রোগের নাম হচ্ছে ‘ম্যাগোট ইন দ্যা নোজ অ্যান্ড প্যারানাজাল এয়ার সাইনাস’।
নাক, গাল ও কপালের অভ্যন্তরের ফাঁকা জায়গা থাকে। আর কোন পোকা সেখানে ঢুকতে পারলে বাসা বাধে। অনেক সময় সেখানে পোকা ডিম পাড়ে ও ডিম থেকে বাচ্চা হয়।
এই অবস্থা হনুফার হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পোকাটি বাসা বাঁধলেও তিনি বিষয়টি বঝুতে পারেননি। আর তাই ধীরে ধীরে মাথা ব্যথা ও চোখ দিয়ে অনবরত পানি বের হতে শুরু করে।
ডা. রউফ বলেন, চিকিৎসায় এ রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যাবে। সিটিস্ক্যানের মাধ্যমে পোকার বসবাসস্থলটি নির্ণয় করে ওষুধের মাধ্যমে পোকাগুলো ধ্বংস করা হবে। তবে আরও দেরি হলে হনুফার মৃত্যুও হতে পারতো।
এ অঞ্চলের চেয়ে দেশের পশ্চিমবঙ্গে এ ধরনের রোগ বেশি দেখা যায়। কারণ সেখানে আমের চাষ বেশি হওয়ায় এ ধরনের পোকা বেশি থাকে। এ জন্য এ ধরনের গাছের নিচে বেশিক্ষণ না থাকাটাই ভালো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭
এমএস/এজি/আরএ