মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টায় সরেজমিনে পরিবহন শ্রমিক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এমন অবস্থানে থাকতে দেখা যায়।
বাসচালক জামির হোসেন ও এবং সাভারে ট্রাকচাপা দিয়ে নারীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ট্রাকচালক মীর হোসেনের মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলাম।
পূর্বঘোষণা ছাড়াই মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সারা দেশে ধর্মঘট শুরু করেন পরিবহনশ্রমিকেরা।
ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় এমপি আসলামুল হক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আর আমরা রাজনীতিবিদ যারা আছি আমরাও চেষ্টা করছি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার। তবে শ্রমিক নেতাদের কাউকে পাচ্ছি না। এখানে আন্দোলনরত যারা রয়েছেন তারা শ্রমিক কিনা আমাদের সন্দেহ রয়েছে।
তিনি বলেন, এযাবত যারা আগুন সন্ত্রাসের নামে অরাজকতা চালিয়েছে এখানে তাদের কোনো ইন্ধন রয়েছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসুন। আর না আসলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জনগণের জানমাল রক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আহমেদ জানান, সকাল থেকেই ঢাকার ভেতরে বিভিন্ন গাড়ি ঢুকতে বাধা দিচ্ছিল শ্রমিকরা, পুলিশ তা প্রতিহত করতে গেলে রাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
পরিবহন শ্রমিকরা পাশের ইট ভাটা থেকে ইট সংগ্রহ করে পিকেটিং করছেন। বিশেষ করে তারা পুলিশ ছাড়াও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছেন। আশপাশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে।
শ্রমিকদের ছুড়া ইটের আঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন মেডিকেল ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া।
এদিকে তাদের এই সংষর্ঘে গাবতলী-টেকনিক্যালসহ পুরো সড়কে যানজট লেগে গেছে। আটকা পড়ে আছে অ্যাম্বুলেন্সও।
**গাবতলীতে পুলিশ-পরিবহন শ্রমিক সংঘর্ষ, রেকার ভ্যানে আগুন
বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭
এমআইএস/এমএম/এজেডএস/পিএম/বিএস