মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীতে যাত্রা ফেডারেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছার জন্য যাত্রাকে সবচেয়ে সহজ মাধ্যম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যাত্রা ছড়িয়ে দিতে হবে।
জয়যাত্রার পরিবেশনা যাত্রা ‘বীরকণ্যা প্রীতিলতা’ এসময় পরিবেশিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যাত্রা দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে সহজে যেভাবে পৌঁছা যায় আর কোনো মাধ্যম নেই ততটা সহজে পৌঁছার। বিশেষ করে গ্রামের মানুষের কাছে যাত্রা প্রিয়। এ কারণে তাদের কাছে টেলিভিশনের রিমোট ঘুরিয়ে দেখার চেয়ে যাত্রা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেখা শ্রেয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। আবার বলেছেন সংস্কৃতি বাড়াও। এজন্য এখনই সময় যাত্রা পালার মাধ্যমে সম্প্রদায়িকতা বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।
সমকালীন তরুণ প্রজন্মের বাংলা উচ্চারণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্ম কি বাংলা বলছে। প্রত্যেকটি ফ্যাশনের অনুষ্ঠানে দেখা যায় একটু ইংরেজিমাখা কথা। এমনকি বাংলা সংগীতের উপস্থাপনাও যিনি করছেন তিনি এমন ভাবে বাংলা বলছেন তাতে মনে হয় কোনো বিদেশি লোক কষ্ট করে বাংলা বলছেন।
সংস্কৃতি মন্ত্রী টেলিভিশন মালিক ও অনুষ্ঠান প্রযোজননার দায়িত্বে যারা থাকেন তাদের ব্যাপারে দৃষ্টি দেওয়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- যাত্রা ফেডারেশনের সভাপতি মৃণাল ভট্টাচার্য, নাট্যজন গোলাম সারওয়ার, কণক কান্তি দাস, ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল আখতারুজ্জামান প্রমুখ।
পরে জয়যাত্রার শিল্পীবৃন্দ পরিবেশন করেন যাত্রা ‘জয়যাত্রা’। এর পালা নির্দেশনায় ছিলেন হাসান কবির শাহীন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭
এসএ/বিএস