এসময় তার বাড়িতে তল্লাশি করে ৩০টি মোবাইল ফোন, তিনটি ল্যাপটপসহ কম্পিউটারের সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের জামতলা ধোপাপট্টি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
মঈনের প্রতারণার শিকার ঢাকার জনৈক কামাল হোসেন জানান, সম্প্রতি ঢাকা থেকে বাসে করে নারায়ণগঞ্জে আসার সময় এক সিটে বসে কথার এক পর্যায়ে মঈন আজিজ নিজেকে সেনাবাহিনীর কর্নেল পরিচয় দেন। তখন থেকেই তার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে উঠে। সেদিন চাষাঢ়ায় বাস থেকে নামার সময় সুজন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যান। পরে কামাল হোসেনকে তাকে তার বাসায় পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেন। সেই থেকে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। আর সেই পরিচয়ের সুবাধে মঈনের সঙ্গে চট্টগ্রাম বেড়াতে যান। তখন তার কাছে থাকা ২৫ হাজার টাকা এবং মোবাইলফোন প্রতারণা করে হাতিয়ে নেন।
এছাড়া মঈন মন্ত্রীকে বলে তাকে উপার্যনের সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলেও টাকা হাতিয়ে নেন। পরে তার ব্যবহৃত মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদ পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে প্রতারক ভুয়া কর্নেলকে আটক করা হয়।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামালউদ্দিন জানান, মঈন আজিজ নিজেকে কখনো সেনা বাহিনীর কর্নেল কখনো পুলিশের এসপি পরিচয়ে বিভিন্ন লোকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলো। কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে জামতলা তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ভুয়া কর্ণেল মঈন আজিজ সুজনকে আটক করা হয়।
তিনি আরো বলেন, মঈন আজিজ সুজন জামতলার ৪তলা বিল্ডিংয়ের মালিক হলেও সে মূলত বেকার। কোনো কাজ কর্ম না করে নিজেকে কর্ণেল পরিচয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করাটাই তার কাজ। আর সে কর্ণেল না হয়েও তার টেলিফোন বিলে তার নামে আগে লে.কর্ণেল উল্লেখ করা হয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭
বিএস