বুধবার (১ মার্চ) সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্নস্থান ঘুরে সেই দুর্ভোগের চিত্র দেখা যায়।
বেলা ১১টার দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে স্টাফ করেসপন্ডেন্ট অন্তু মুজাহিদ জানান, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন গন্তব্যে মানুষ পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন।
সচিবালয়ে চাকরি করেন নজরুল ইসলাম। থাকেন চিটাগং রোডে। পায়ে হেঁটে ছুটছেন অফিসে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘কী আর করা? গাড়ি নাই, তাই পায়ে হেঁটে অফিস যাচ্ছি। প্রতিদিন তো আর এভাবে যাওয়া যাবে না। এ দুর্ভোগের একটা সমাধান চাই।
এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে স্টাফ করেসপন্ডেন্ট শেখ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গণপরিবহন চলছে না। তবে প্রাইভেটকার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা অল্প-স্বল্প চলছে। সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন ভয়াবহ দুর্ভোগে।
রাজধানীর বিভিন্নস্থান ঘুরে স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট শামীম খান জানান, যাতায়াতে নগরবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঢাকার রাস্তাগুলো এখন রিকশার দখলে। ৫০ টাকার রিকশা ভাড়া এখন ১২০ থেকে ১৩০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে পুরানা পল্টন মোড় পর্যন্ত ২০/৩০ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা।
আরামবাগের শ্যামলী পরিবহন, সোহাগ পরিবহনসহ কয়েকটি পরিবহনের কাউন্টারে খবর নিয়ে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত কোনো দূরপাল্লার কোনো গাড়ি চলাচলা করেনি।
এছাড়া, রাজধানীর ফার্মগেট, মিরপুর, কল্যাণপুর, শাহবাগ, পল্টন, মতিঝিল এলাকায় ঘুরে নগরবাসী দুর্ভোগে চিত্র দেখা যায়। কোথাও কোথাও বিআরটিসি বাস চলতে দেখা গেলেও যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক দূরপাল্লার কোনো বাস চলছে না বলেও জানান সেখানে অবস্থান করা স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সাব্বির আহমেদ।
এদিকে, ঢাকা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম জানান, শ্রমিকরা কোনো বাস চালাচ্ছে না। ফলে ঢাকার সঙ্গে দেশের বিভিন্নস্থানের সড়ক পথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭
এসজেএ/এসএ/এএম/টিআই