সবারই গালাগালের কেন্দ্র বিন্দুতে শ্রমিক নেতা। কেউ আবার সরকারকে দোষারোপ করছে।
হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত মশগুল হোসেন, গুলশান-১ নম্বর সিগন্যালে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে এদিক-ওদিক তাকালেন, কোনো যানবাহন পাওয়া যায় কিনা। প্রায় পনেরো মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা এলে ছুটে যান সেখানে।
মশগুল হোসেনের মতো আরও দশ-বারোজন সিএনজি অটোরিকশাটিকে ঘিরে ধরেন। চালক বলে ওঠেন মহাখালী যাবো, তবে একেকজন ৫০ টাকা দিতে হবে। একজন রিজার্ভ যেতে চাইলে চালক সাফ জানিয়ে দেন যাবেন না।
একজন বলে উঠলেন, মাত্র পাঁচ টাকার জায়গায় পঞ্চাশ টাকা, কম করে নাও। চালক বললেন সম্ভব না, কারণ আজকে অনেক ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। বেশ কয়েকটি সিএজির অটোরিকশার গ্লাস ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এবার যাত্রীরা ক্ষেপে গেলে তাদের না নিয়েই স্থান ত্যাগ করেন চালক।
আর তখনই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মশগুল হোসেন, বিড়বিড় করে বলতে থাকেন কয়েকজন শ্রমিক নেতার কাছে দেশটা জিম্মি হয়ে গেছে! আহা, কি মামা বাড়ির আবদার, তারা মানুষ মারবে, কিন্তু জেল দেওয়া যাবে না। ওরা আইনের ঊর্ধ্বে নাকি?
একজন মন্ত্রীও তাদের পক্ষে সাফাই গাইছেন। ওই শাহাজান খান আগেও অন্যায়ভাবে শ্রমিকদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।
আর সরকারইবা কেমন, শ্রমিক নেতারা মানুষকে জিম্মি করেছে কিন্তু কিছুই বলছে না। সরকারের উচিত উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া।
বিড়বিড় করতে করতে মহাখালীর পথে হাঁটা দিলেন, অন্যদেরকেও দেখা গেলো তারসঙ্গে সুর মিলিয়ে সমর্থন জানাতে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭
এসআই/ওএইচ/এসএইচ