একই অবস্থা জরুরি কাজে ঢাকা ছাড়ার অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদেরও।
বুধবার (১ মার্চ) সকালে সরেজমিন রাজধানীর সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে জানা যায়, অনেকে মঙ্গলবার রাতে দূরপাল্লার পরিবহন কাউন্টারের সামনে বসেই রাত্রিযাপন করছেন।
তাদের একজন রাহেলা বেগম। তিনি বড় মেয়ে আর ৬ বছরের নাতি নিয়ে ঢাকা এসেছিলেন ডাক্তার দেখাতে। কিন্তু পরিবহন ধর্মঘটের কবলে পড়ে মহাবিপাকে তারা।
রাহেলা বাংলানিউজকে বলেন, কি আর করবো, ঢাকায় আমাগোর আত্মীয়-স্বজন কেউ নাই। নাতি মেয়ে নিয়া কাল সন্ধ্যা থেকে এখানে বইসা আছি। দেখি কখন বাস ছাড়ে। বাস না ছাড়লে তো আর যাইতে পারবো না।
ভোলা থেকে এসে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে ঘুম চোখে বসে আছেন মো. শাকিল। ব্যবসায়িক কাজে তিনি যাবেন সুনামগঞ্জ। চোখে মুখে হতাশার ছাপ নিয়ে তিনি বলেন, দূর-দূরান্ত থেকে আসছিলাম। এখন পড়ছি ভোগান্তিতে। জানি না কখন যেতে পারবো গন্তব্যে।
কামরাঙ্গীচরের একটি বেকারিতে কর্মরত রেজাউল করিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলানিউজ বলেন, এক সপ্তাহের ছুটি পেয়েছি। যাবো গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপদে আছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭
এএম/আরআইএস/এএ