ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে বুধবার (০১ মার্চ) দুপুরে সায়েদাবাদ ব্রিজের কাছ থেকে রিকশায় যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার যেতে চাইলে চালক ২০ টাকার ভাড়া চেয়ে বসলেন ১৫০ টাকা। এতো কেন জানতে চাইলে চালকের খেয়ালি উত্তর, যাইলে যাইবেন না যাইলে নামেন।
এদিকে সায়েদাবাদ থেকে গুলিস্থান যেতে সাজ্জাদ হোসেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা ডাকলে চালকের ভাড়া শুনে তার চোখ ছানাবড়া। ভাড়া হাঁকালেন ৫০০ টাকা। সবশেষ কতো ভাড়ায় যাবেন যাত্রী সাজ্জাদ হোসেনের এমন প্রশ্নে চালকের সাফ জবাব, ৩০০ টাকা হলে যেতে পারবেন। এর কম হবে না।
পরিবহনে সংকটে এভাবে ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য চালাচ্ছেন অটোরিকশা ও রিকশা চালকরা।
জানতে চাইলে হেসে দিয়ে এক রিকশা চালক বলেন, মামা, আজ কোনো বাস চলছে না। আজ যদি ইনকাম বেশি না করি তো কবে করবো। অল্প কষ্ট করে বেশি টাকা পাওয়া গেলে বেশি কষ্ট কেনো করতে যাবো। তাছাড়া রিকশা চালানো অনেক কঠিন কাজ। আমরা এতো কষ্ট করি কেউ আমাদের মূল্যায়ন করে না।
এ সময় অহেতুক ভাড়া চাওয়ায় চালকের সঙ্গে অনেক যাত্রীর কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতিরও খবর পাওয়া গেছে।
রিকশা ভাড়া বেশি নেওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডের পাশে এক চা দোকানদার বলেন, নতুন নতুন রিকশাচালক ঢাকা আইছে। তারা নিজেরা ভাড়া জানে না। অতিরিক্ত ভাড়া চায়। আজ তাদের পাখা গজাইছে।
এদিকে চালকদের খামখেয়ালি ভাড়ায় নাভিশ্বাস হয়ে অনেক যাত্রী পায়ে হেঁটে গন্তব্যে উদ্দেশ্যে ছুটছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭
এএম/জেডএস