বিভিন্ন সড়কে বুধবার (১ মার্চ) সকাল থেকেই যাত্রীবাহী বাস চলাচলে অবরোধ সৃষ্টি করে শ্রমিকরা। বাদ যায়নি সিএনজিচালিত অটোরিকশাও।
আগারগাঁও মোড়ে কথা হয় রিকশাচালক রাজুর সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বেশি তো নিচ্ছি না। আজ আমরা সুযোগ পাইছি। এমন দিন তো প্রতিদিন আসবে না। সাতটায় বাইর হইছি। পকেটে দুই হাজার টাকা আসছে। এ রকম থাকলে আরও আয় হইবো।
রাজধানীর কয়েকটি ভিআইপি ও ব্যস্ত সড়ক ঘুরে দেখা যায়, মিরপুর, ফার্মগেট রিকশাভ্যান চলাচল করছে। এছাড়া বিজয় সরণি ও আগারগাঁও থেকে এলেনবাড়ি যাওয়ার ভিআইপি সড়কেও অবাধে চলতে দেখা গেছে রিকশা-ভ্যান। সিরিয়াস রোগীকে হাসপাতালে নিতেও ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভ্যান।
তবে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে সামনে সকালের দিকে রিকশা চলতে দিলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে যানজট দেখা দেয়। ফলে রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
‘কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ’- মিরপুর ১০ থেকে আগারগাঁও আসতে সাধারণ সময়ে ৪০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। সেখানে বুধবার পরিবহন ধর্মঘটের সুযোগে ১৫০ টাকা নিচ্ছেন রিকশাচালকরা। আগারগাঁও থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে আসতে আরও ১২০ টাকা ভাড়া গুনছেন যাত্রীরা।
মিরপুর ১০ থেকে ফার্মগেট, মোহাম্মাদপুর, গাবতলী, নিউমার্কেট ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা করে ডাকা-ডাকি করছেন রিকশাচালকরা। এক ভ্যানের মধ্যে ছয়জন যাত্রী। শেওড়া পাড়া থেকে ফার্মগেট যাত্রী প্রতি ৫০ টাকা।
এমন ভাড়া নৈরাজ্য দেখে মতিঝিলগামী আব্দুস সাত্তার নামে এক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রীতিমতো চরম দুর্ভোগ। এমন পরিস্থিতিতে হরতালেও পড়িনি। কাল থেকে দুই হাজার টাকা সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া দিলাম। সরকারের উচিত এ অচলবস্থা দ্রুত নিরসন করা।
সংসদ ভবন থেকে বিজয় সরণি সড়কে একটি ভ্যান ঠেলে নিয়ে যেতে দেখা গেলো। ভ্যানে ৭ জন বসা তাতে। আইডিবি এসে ভ্যান বিকল হলে চালক ঠেলে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
এ অবস্থা দেখে আলীমুর নামে এক পথচারী বলেন, বেশি খাইতে গেছে তাই এ অবস্থা। সুযোগ পাইছে হুশ আর নেই।
এদিকে মিরপুর, ফার্মগেট কারওয়ান বাজার, কাকলী, মহাখালী প্রতি স্থানেই হাজার হাজার মানুষকে পরিবহনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মন্ত্রীর আহ্বানের পর যানবাহন চলাচল সামান্য পরিসরে শুরু হলেও অচালবস্থা কাটেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭
এমসি/এএ