এসময় তিনি বলেন, দেশ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এর আগে তিনি গোপালগঞ্জ, রংপুর, পার্বতীপুর, মেহেরপুরসহ দেশে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
ভিডিও কনফারেন্স উপলক্ষে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুবায়ের সালেহীন, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে একমাত্র বিদ্যুৎহীন উপজেলা ছিল থানচি। দুর্গমতার কারণে স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও সেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছেনি। ফলে অন্যান্য এলাকার চাইতে পিছিয়ে ছিল উপজেলাটি। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা না থাকায় থানচি উপজেলার পার্শ্ববর্তী চিম্বুক পাহাড়ে বসবাসকারী আদিবাসীরাও ছিল অন্ধকারে। এখন এ অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। দুর্গম উপজেলা থানচিতেও পৌঁছেছে বিদ্যুৎ।
প্রায় ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে থানচি বিদ্যুতায়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতে চিম্বুক পাহাড়ের ওয়াই জংশন এলাকা থেকে থানচি পর্যন্ত দু’টি উপকেন্দ্রসহ বিভিন্ন পর্যায়ে মোট ৮০ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন টানা হয়েছে।
বান্দরবান বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বাংলানিউজকে জানান, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর ইতোমধ্যে তিন শতাধিক বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আরও পাঁচশ অবেদন জমা পড়েছে। ক্রমাগত বিদ্যুৎ গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ০১ মার্চ, ২০১৭
আরএ