বুধবার (০১ মার্চ) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে টেবিলে উত্থাপিত সরকার দলীয় সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যৌথ অর্থায়নে ২ হাজার ৫৪ কোটি টাকার ‘উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্প (হেকেপ)’ বাস্তবায়ন করছে।
প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন ও বহির্বিশ্বের শিক্ষা ও গবেষণা নেটওয়ার্কের সঙ্গে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিআরইএন) স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে বাংলাদেশে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদী চুক্তির আওতায় সারাদেশে ৩ হাজার কিলোমিটার ওভারহেড অপটিক্যাল গ্রাউন্ড ওয়্যার (ওপিজিডব্লিও) নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে। এর বাইরে সংযুক্ত করার জন্য ৩০৩ কিলোমিটার ৪২টি পয়েন্ট টু পয়েন্ট অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল কানেক্টিভিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
এ প্রকল্পের আওতায় ৩৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা হাইস্পিড ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভার্চুয়াল ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিজস্ব ক্যাম্পাসে অবস্থান করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত লেকচার ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করতে পারছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু বিডিআরইএন ট্রান্স এশিয়ান এডুকেশন নেটওয়ার্ক (টিএইএন-১১) এবং এ জাতীয় অন্যান্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শিক্ষা নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত তাই বিশ্বজ্ঞান ভান্ডারের দরজা আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে উন্মুক্ত হয়েছে।
বিডিআরইএন’র মাধ্যমে পাইলট ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য সিসি ক্যামেরা ও একসেস কন্ট্রোল ডিভাইস স্থাপন করা হচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনারোধে এ ব্যবস্থা কার্যকর প্রমাণিত হলে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
**জঙ্গিবাদের পথ ছাড়লে পুনর্বাসন করা হবে
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭
এসএম/জেডএস