পরে বিকল্প হিসেবে শায়েস্তাগঞ্জ হয়ে হবিগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেছে নেন রেলপথ। কিন্তু আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেসের টিকিট সংগ্রহ করতে গিয়ে পড়েন বিপাকে।
মুহিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শত শত লোকজনের পেছনে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়েছে তাকে। পরিবহন ধর্মঘট থাকায় এমন দুর্ভোগে পড়তে হয়। এরপরও গন্তব্য নবীগঞ্জ পৌঁছাতে শায়েস্তাগঞ্জ নেমে আরও ৩৬ দকিলোমিটার যেতে হবে বলে জানান তিনি।
তার মতো এভাবে ধর্মঘটের কারণে দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। ধর্মঘটে দূর-দূরান্তের বিপাকে পড়া এসব মানুষের যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন ছিলো রেলপথ। সরেজমিন বুধবার সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ভুক্তভোগী যাত্রীদের অনেকে বলেন,পরিবহন ধর্মঘটের কারণে যানবাহন না পেয়ে বিকল্প হিসেবে রেলস্টেশনে এসেও যাত্রীদের ভিড় ঠেলে টিকিট নিতে হচ্ছে। ধর্মঘট প্রত্যাহারের পূর্ব পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি ছিল রেলওয়ে স্টেশনে।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ধর্মঘটের কারণে রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের টিকিটের জন্য সকাল থেকে মানুষের দীর্ঘ লাইন ছিলো। সে জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে লোকজনকে।
তিনি বলেন, ধর্মঘটের কারণে আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেসসহ সবগুলো ট্রেনের টিকিট শেষ হয়ে যায়।
এদিকে, দুপুরে ধর্মঘট প্রত্যাহারের খবর জানতে পেরে মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে। স্টেশনের লাইনে দাঁড়ানো লোকজনের অনেককেই বাসের সন্ধানে পুনরায় সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের উদ্দেশে রওয়ানা দিতে দেখা গেছে।
সিলেট বিভাগ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক বাংলানিউজকে বলেন, ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশে যানবাহন ছেড়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৭
এনইউ/আরআই