বুধবার (০১ মার্চ) বিকেলে বগুড়ার শেরপুর পৌরশহরের রেজিস্ট্রি অফিস এলাকায় গড়ে ওঠা ঐতিহ্যবাহী দুধের বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
প্রায় ২শ’ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী এ দুধের বাজারে গড়ে প্রতিদিন দুইশ’ মণের অধিক দুধ বিক্রি হয়ে থাকে।
স্থানীয়রা জানান, এ উপজেলায় ছোট-বড় দেড়শ’র মত দুই মিষ্টির কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ২৫-৩০টি কারখানায় প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে দই তৈরি করা হয়। রয়েছে বড় ধরনের বেশ কয়েকটি হোটেলও। এছাড়া স্পেশাল, সাধারণ, পাতলা দইয়ের জন্য খ্যাত এ উপজেলা। পাশাপাশি তৈরি করা হয় নানা ধরনের মিষ্টান্ন সামগ্রী। যা চলে যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে।
এসব কারণে এ উপজেলায় প্রতিদিন বিপুল পরিমাণে দুধের চাহিদা রয়েছে। সে হিসেবে বিক্রেতা, বেপারী ও খামারিরা দুধের আমদানি ঘটিয়ে থাকেন। অন্য বাজারের চেয়ে এখানে দামও ভাল পান তারা। কিন্তু পরিবহন ধর্মঘটের কারণে এই দুই দিন দুধের বাজার পড়ে যায়।
মনজিল, সোহরাব, আশরাফ, রব্বানীসহ একাধিক বিক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, ধর্মঘটের কারণে দই ও মিষ্টির ব্যবসায়ীরা এই দুই দিন উৎপাদন অনেক কমিয়ে দেন। আগের মত আর দুধ কেনেননি তারা।
গত সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রতিকেজি দুধ ৫৫-৬৫ টাকা দরে বিক্রি করেছেন তারা। তবে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হওয়ায় একই দুধ ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হয়েছে।
বুধবার (০১ মার্চ) সকালের দিকে এ দর নেমে আসে ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে। তবে বিকেলের দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের খবরে ফের চাঙ্গা হতে থাকে দুধের বাজার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআই